কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছে।
আগামী ২৮ মার্চ সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ৩ মার্চ।
সেখানে অনুমোদন পেলে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৩০ টাকা করে পাবেন এবং প্রতি একটি শেয়ারে নতুন দুইটি করে শেয়ারে পাবেন।
সব মিলিয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ২০২০ অর্থবছরে মোটি ৬০০ শতাংশ নগদ এবং ২০০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এর আগে প্রথম নয় মাসে তারা ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
লভ্যাংশের খবরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ারের দাম বেড়েছে।
বুধবার এ শেয়ার যেখানে ঢাকার পুঁজিবাজারে ১ হাজার ৫০৯ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল, বৃহস্পতিবার তা ১ হাজার ৭০০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়।
১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০২০ অর্থ বছরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো শেয়ার প্রতি মুনাফা করেছে ৬০ টাকা ৪৮ পয়সা। এসময় তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৮৮ টাকা ৮৯ পয়সা।
আগের বছর এই সময় তাদের শেয়ারে প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৫১ টাকা ৩৭ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৯৮ টাকা ৮৫ পয়সা।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর পিই হয়েছে ২৮ দশমিক ১১ পয়েন্ট।
২০১৭ অর্থবছরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো মুনাফা করেছিল ৭৮২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৬০ টাকা।
২০১৮ অর্থবছরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো মুনাফা করেছিল ১ হাজার ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৫০ টাকা এবং প্রতি একটি মেয়ারে নতুন ২টি শেয়ার।
২০১৯ অর্থবছরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো মুনাফা করেছিল ৯২৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৪০ টাকা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১৮ কোটি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৭২ শতাংশ ৯১ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
সরকারের হাতে আছে দশমিক ৬৪ শতাংশ এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার আছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ বর্তমান বাজার মূলধন ২৭ হাজার ১৭৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৮০ কোটি টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৩ হাজার ৩৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।