আইপিও ছেড়ে টাকা তোলার পর কোম্পানিটির শেয়ার চার দিন ধরেই লেনদেন হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে।
এই চার দিনই সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত বেড়েছে রবির শেয়ারের দাম।
রবি শেয়ার প্রথম লেনদেন হয় গত বৃহস্পতিবার। সেদিন ১০ অভিহিত মূল্যের শেয়ারটির দর ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৫ টাকা হয়।
রোববার দর আরো ৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়ে ২২ টাকা ৫০ পয়সায় ঠেকে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত আরও বেড়ে সর্বশেষ রবির শেয়ার ২৭ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
সব মিলে চার দিনে রবির শেয়ার ১০ টাকা থেকে ১৭ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে ২৭ টাকা ১০ পয়সা হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ১৭১ শতাংশ দর বেড়েছে।
এই চার দিনে ১১ হাজার ২৪০ বারে রবির মোট ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ৫৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, টাকার অংকে যার দাম ১৭ কোটি ৫৬ টাকা।
এখন তালিকাভুক্তির পর প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে নতুন কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে। এর পরে ১০ শতাংশ করে বাড়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ‘ROBI’ কোড ও ২৭০০৩ নম্বর কোম্পানি কোড নিয়ে এন ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে রবির শেয়ার।
২৩ সেপ্টেম্বর রবিকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন পায়। এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর বিনিয়োগকারীরা রবির জন্য আবেদন করেন; ১০ ডিসেম্বর লটারি হয়। ২০ ডিসেম্বর বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার যোগ হয়।
রবির আইপিও থেকে মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা তহবিল সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। এজন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার ছাড়ে।
এর মধ্যে রবি কর্মীদের কাছে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার বিক্রি করে ১৩৬ কোটি ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৪০ টাকা তুলেছে।
বাকি ৩৮৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার মধ্যে ১৫৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা বরাদ্দ ছিল যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য। বাকিটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য।
আইপিওর ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৪ টাকা দিয়ে নেটওয়ার্ক পরিধির বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রবির। আর আট কোটি দুই লাখ নয় হাজার ৭৬৬ টাকা আইপিও বাবদ খরচ হবে।
২০১৯ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। গতবছর তারা মুনাফা করেছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এ সময়ে তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১২ টাকা ৬৪ পয়সা আর শেয়ার প্রতি মুনাফা ৪ পয়সা।
২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী রবির মোট সম্পদ ১৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। রিটার্ন অন অ্যাসেট দশমিক ১০ শতাংশ। এর অর্থ ১০০ টাকার সম্পদ ব্যবহার করে ১০ পয়সা মুনাফা হয়েছে।
রবির নেট প্রফিট মার্জিন দশমিক ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার বিক্রিতে ২৩ পয়সা মুনাফা হয়েছে।
রবি আজিয়াটার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইজাজউদ্দিন বিন ইদ্রিস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ।