রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কার্যালয়ে বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা আইন অনুযায়ী সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ করতে ব্যর্থ হবেন, সে সকল কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনা আজকের সভায় চূড়ান্ত করা হয়।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর শৃঙ্খলা ফেরাতে মনোযোগী হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরের বছর নভেম্বর থেকে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের মিলিতভাবে কোম্পানির অন্তত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়। সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়া অন্যদের প্রত্যেককে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে।
গত বছর মে মাসে আইনে সম্পূরক সংযোজন এনে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকলে শেয়ার বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বা উপহার হিসেবে শেয়ার হস্তান্তর এবং বোনাস শেয়ার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।
চলতি বছরের ২৯ জুলাই ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণে ব্যর্থ ৪৪ কোম্পানিকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।
পরে কয়েকটি কোম্পানির আবেদনে সাড়া দিয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ায় বিএসইসি।
ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ারধারণের শর্ত পূরণ না করে পদে থাকায় নয়টি কোম্পানির ১৭ জন পরিচালককে এরই মধ্যে সরিয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।