রোববার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পূরণ না করে পদে থাকায় নয়টি কোম্পানির ১৭ জন পরিচালককে ইতোমধ্যে সরিয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধসের পর শৃঙ্খলা ফেরাতে মনোযোগী হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরের বছর নভেম্বর থেকে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের মিলিতভাবে কোম্পানির অন্তত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়। সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়া অন্যদের প্রত্যেককে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে।
গত বছর মে মাসে আইনে সম্পূরক সংযোজন এনে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকলে শেয়ার বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বা উপহার হিসেবে শেয়ার হস্তান্তর এবং বোনাস শেয়ার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।
এরপর চলতি বছরের ২৯ জুলাই সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ৪৪ কোম্পানিকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তাদের সময় দেওয়া হয় ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত।
ওই সময়ে বেশ কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা নির্ধারিত পরিমাণ শেয়ার ধারণ করলেও কিছু কোম্পানি তা না পারায় সময় বাড়ানোর জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করে।
এরপর ২৯ অক্টোবর সেই সময় ৩০ কার্যদিবস বাড়িয়ে নতুন করে একটি চিঠি দেয় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
সেইসঙ্গে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকেও (সিডিবিএল) বিষয়টি জানানো হয়েছে।