রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এসব লভ্যাংশের তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড
কাগজ খাতে তালিকাভুক্ত বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ১ টাকা করে পাবেন।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ দেওয়া হবে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ৩০ নভেম্বর।
লভ্যাংশের খবরের পরও বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের শেয়ারের দাম কমেছে। বৃহস্পতিবার এ শেয়ার ঢাকার পুঁজিবাজারে ৪১ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল। রোববার তা ৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
বসুন্ধরা পেপার মিলস ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতি শেয়ারে মুনাফা করেছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা। আর তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫৫ পয়সায়।
২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বসুন্ধরা পেপার মিলস ২৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা মুনাফা করে লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫০ পয়সা দিয়েছিল।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯১ হাজার ৪৪১টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৭০ দশমিক ৮৬ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬ দশমিক শূণ্য ৭৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার আছে।
বসুন্ধরা পেপার মিলস বর্তমান বাজার মূলধন ৭২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৭৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৪০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
ড্যাফোডিল কম্পিউটারস লিমিটেড
তথ্য প্রযুক্তি খাতে তালিকাভুক্ত ড্যাফোডিল কম্পিউটারস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৮০ পয়সা করে পাবেন।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ দেওয়া হবে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ২৯ নভেম্বর।
লভ্যাংশের খবরের পর ড্যাফোডিল কম্পিউটার লিমিটেডের শেয়ারের দাম কমেছে। বৃহস্পতিবার এ শেয়ার ঢাকার পুঁজিবাজারে ৬৭ টাকা লেনদেন হচ্ছিল। রোববার তা ৬৪ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতি শেয়ারে মুনাফা করেছে ৯১ পয়সা। আর তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সায়।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ কোম্পানি ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল; লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৪ কোটি ৯৯ লাখ ১২ হাজার ২৬২টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৪১ দশমিক ৩৪ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৯ শতাংশ,বিদেশিদের হাতে আছে দশমিক ১৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৯ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার আছে।
ড্যাফোডিল কম্পিউটারসের বর্তমান বাজার মূলধন ৩৩৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ
জ্বালানি খাতে তালিকাভুক্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ২ টাকা করে পাবেন।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ দেওয়া হবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ২৬ নভেম্বর।
লভ্যাংশের খবরের পর পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার এ শেয়ার ঢাকার পুঁজিবাজারে ৪৭ টাকা ৮০ পয়ষা লেনদেন হচ্ছিল। রোববার তা ৪৮ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতি শেয়ারে মুনাফা করেছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকা ৩৯ পয়সায়।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ কোম্পানির মুনাফা হয়েছিল ৩৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ২ টাকা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৭১ কোটি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৯১টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৮৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২ দশমিক ২১ শতাংশ,বিদেশিদের হাতে আছে দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার আছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির বর্তমান বাজার মূলধন ৩ হাজার ৪০৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭১২ কোটি ৭২ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৮৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
কোহিনূর কেমিকেল
ওষুধ খাতে তালিকাভুক্ত কোহিনূর কেমিকেল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ১০ স্টক ঘোষণা করেছে।
অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৩ টাকা ৫০ টাকা করে পাবেন এবং ১০০ টি নুতন শেয়ারে ১০টি।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ দেওয়া হবে। আগামী ২১ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ২৬ নভেম্বর।
লভ্যাংশের খবরের কোনো প্রভাব কোহিনূর কেমিকেলের শেয়ার দরে পড়েনি। বৃহস্পতিবার এ শেয়ার ঢাকার পুঁজিবাজারে ৪৭২ টাকা ৮০ পয়সা লেনদেন হচ্ছিল। রোববার তা একই দরে হাতবদল হয়েছে।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে কোহিনূর কেমিকেল প্রতি শেয়ারে মুনাফা করেছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। আর তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৩৪ পয়সায়।
১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে কোহিনূর কেমিকেল মুনাফা করেছিল ১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ২ টাকা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ২০টি শেয়ার।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ২ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার ৫০০টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭২ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার আছে।
কোহিনূর কেমিকেল কোম্পানির বর্তমান বাজার মূলধন ৯৫৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ১৮ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।