৩০% শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে কঠিন ব্যবস্থা: শিবলী

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি আইন অনুযায়ী ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2020, 05:16 PM
Updated : 5 Oct 2020, 05:23 PM

বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার বিএসইসি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, “আপনারা জানেন ২ শতাংশ শেয়ার না থাকার কারণে আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৭ জন পারিচালককে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছি।

“আমরা যে কোম্পানিগুলোকে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে সময় দিয়েছিলাম, সেই সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পথে। আপনারা একই রকম আমাদের সিদ্ধান্ত দেখতে পাবেন। আইন অনযায়ী শেয়ার ধারণ না করলে কোম্পানিগুলোকে ভুগতে হবে।”

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ারধারণের শর্ত পূরণ না করে পদে থাকায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯টি কোম্পানির ১৭ জন পরিচালককে সরিয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের পরের বছর নভেম্বরে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের মিলিতভাবে কোম্পানির অন্তত ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়। সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়া অন্যদের প্রত্যেককে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ারধারণ করতে হবে।

গত বছর মে মাসে আইনে সম্পূরক সংযোজন এনে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকলে শেয়ার বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বা উপহার হিসেবে শেয়ার হস্তান্তর এবং বোনাস শেয়ার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।

বিএসইসি আয়োজিত আলোচনায় মূল বিষয় ছিল কীভাবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আরও সুরক্ষা দেওয়া যায়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের পরামর্শক হোসেন সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আবু আহমেদ।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ফাইল ছবি

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভালো এলাকা, আপনারা এখানে বিনিয়োগ করবেন।

“খালি সেকেন্ডারি মার্কেটের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। প্রাইমারি মার্কেটে লংটার্ম বিনিয়োগ করুন। কারণ এখন আমরা খারাপ কোম্পানিকে সুযোগ দেব না। এখন কোনো কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে না।”

বিশ্বের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনের (আইওএসসিও) সদস্য হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ পালন করে আসছে বিএসইসি।

এবার বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ পালন হবে ৫ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর। এসময়ে পুঁজিবাজার নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।