ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্যামপুর সুগার মিলস
শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারের দাম মাত্র দেড় মাসে প্রায় ১৯০ শতাংশ বেড়েছে। সোমবার শ্যামপুর সুগারের কাছে কারণ জানতে চেয়েছিল ডিএসই।
জবাবে ওই কোম্পানি বলেছে, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯ জুলাই শ্যামপুর সুগারের শেয়ারের দাম ছিল ২৩ টাকা ৮০ পয়সা, যা বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার ৬৮ টাকা ৪০ পয়সায় উঠেছে।
অর্থাৎ দেড় মাসে দাম বেড়েছে ৪৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৮৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।
সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেড
সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেডের শেয়ারের দাম মাত্রে এক মাসে প্রায় ১৮০ শতাংশ বেড়েছে। সোমবার এর কারণ জানতে চাইলে ডিএসইকে কোম্পানিটি বলেছে, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ জুলাই সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের শেয়ারের দাম ছিল ৯৮ টাকা ৭০ পয়সা, যা বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার ২৭২ টাকা ১০ পয়সায় উঠেছে।
অর্থাৎ এক মাসে দাম বেড়েছে ১৭৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৭৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
জি কিউ বলপেন
জি কিউ বলপেনের শেয়ারের দাম মাত্র দেড় মাসে প্রায় ১৭০ শতাংশ বেড়েছে। দাম বাড়ার বিষয়ে ডিএসইর নোটিসের জবাবে কোম্পানিটি বলেছে, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়,৭ জুলাই জি কিউ বলপেনের শেয়ারের দাম ছিল ৬৬ টাকা ১০ পয়সা, যা বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার ১৭৫ টাকা ৫০ পয়সায় উঠেছে।
অর্থাৎ দেড় মাসে দাম বেড়েছে ১০৯ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৬৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বাস্তব কারণ ছাড়া শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়লে তা স্থায়ী হয় না। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা বেশি দামে শেয়ার কিনে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ধরনের ঝুঁকি দেখলে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কোম্পানির কাছে তার ব্যাখ্যা চায়।
তিনটি কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রেই মৌল ভিত্তির অনুপাতে দাম বৃদ্ধির গতি বেশি হওয়ায় ডিএসই চিঠি দিয়েছে।