বৃহস্পতিবার ওয়ালটনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছেন, পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে ভালো কোম্পানিগুলোর বাজারে আসা খুবই জরুরি। বাজারে মানসম্মত কোম্পানির শেয়ারের অভাব রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট কাটছে না। এই আস্থার সংকট কাটাতেই পুঁজিবাজারে আসছে দেশের ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলবে ওয়ালটন। ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ মেটাতে ব্যয় হবে এই অর্থ।
ওয়ালটনের আইপিও শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য (কাট অফ প্রাইস) হয়েছে ৩১৫ টাকা।
এই ৩১৫ টাকা থেকে ১০ শতাংশ কম দামে অর্থাৎ প্রতিটি ২৮৩ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাবেন ওয়ালটনের শেয়ার।
এর আগে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা ৭২ ঘণ্টা ওয়ালটনের শেয়ারের বিডিংয়ে অংশ নেন।
২ মার্চ সোমবার বিকাল ৫টা থেকে, ৫ মার্চ বিকাল ৫টা -মোট ৭২ ঘণ্টা চলে এই নিলাম ।
নিলামে মোট ২৩৩ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী অংশ নেন। নিলামে ওয়ালটনের একটি শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠে ৭৬৫ টাকা।
কাট অফ প্রাইস হয় ৩১৫ টাকা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আসছে শুনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
কোম্পানির প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুসারে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার পরিমাণ ছিল ৩৫২ কোটি টাকা এবং বিক্রি ছিল ২ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা।
সময়োপযোগী বিপণন কৌশল, বিক্রয়োত্তর সেবাকে অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে পণ্য ক্রয়ে বাড়তি সুবিধা দেওয়ায় বিক্রি বেড়েছে বলে মনে করেন ইয়াকুব।
তিনি জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সকে ওয়ালটন হাই-টেকের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল।
“ফলে গত অর্থবছরে স্বাভাবিকভাবেই আগের বছরের তুলনায় কোম্পানির টার্নওভার ও মুনাফা অনেক বেড়েছে।”
ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক সুপরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরি করে কার্যক্রম পরিচালনা করায় টার্নওভার ও মুনাফা অনেক বেড়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচ ধরনের সেলস নেটওয়ার্ক। প্লাজা, পরিবেশক, কর্পোরেট, অনলাইন এবং আন্তর্জাতিক বিপণন।