সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক দিনেই ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। দিন শেষে প্রায় ১৫০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ১৫৬ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পদক্ষেপের পরও পুঁজিবাজারে পতন ঠেকানো যাচ্ছিল না। টানা কয়েকদিন পতনের পর সোমবার ডিএসইএক্স এক দিনেই ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ পড়ে যায়; সূচক হারায় ২৭৯ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৪৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে হয়েছে ১২ হাজার ৬৭২ পয়েন্টে।
তবে দুই বাজারেই লেনদেন কমেছে।
“প্যানিকড সেল (আতঙ্কিত হয়ে বিক্রি) কখনই স্থায়ী হয় না। আমাদের বাজারেও তাই হয়েছে।”
জানুয়ারিতে বড় ধসের পর পুঁজিবাজার জাগাতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় ব্যাংকগুলোকে ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের সুযোগ দেওয়ার পর থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল।
টানা কয়েক দিন লেনদেনের পাশাপাশি সূচক বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাও ফিরতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে ফের লেনদেন ও সূচক কমতে শুরু করে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইএক্স ১৪৮ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই৩০ সূচক ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বা ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৯০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬০ দশমিক ৪০ পয়েন্টে।
ডিএসইতে ৩২৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সোমবারের চেয়ে ১৭১ কোটি ১ লাখ টাকা কম। সোমবার এই বাজারে ৪৯৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৫৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৩টির, কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবার ২৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮০টির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির দর।