এটি প্রতিষ্ঠানটির তিন মাসের অর্থাৎ ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়ের লভ্যাংশ।
অর্থাৎ রেকর্ড ডেট পর্যন্ত কোনো শেয়ারহোল্ডারের বিও অ্যাকাউন্টে ম্যারিকোর একটি শেয়ার থাকলে তিনি ৩০ টাকা লভ্যাংশ পাবেন।
সবমিলিয়ে নয় মাসে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ম্যারিকোর লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়াল ৫০০ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই)ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ম্যারিকোর আর্থিক বছর শুরু হয় এপ্রিল মাস থেকে; শেষ হয় মার্চে। সে হিসাবে বুধবার যে ৩০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে সেটি গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের।
প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক বছর শেষ হতে আরও তিন মাস (জানুয়ারি-মার্চ) বাকি আছে। মার্চ শেষে আরেকটি আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। তখন আরও কিছু লভ্যাংশ ঘোষণা করা হতে পারে।
গত আর্থিক বছরে (২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ) ম্যারিকো সবমিলিয়ে ৬৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
বুধবার ঘোষিত লভ্যাংশের রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
তৃতীয় প্রন্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ম্যারিকোর শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এই তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ১৯ টাকা ৬৮ পয়সা। যা আগের বছর এই সময় ছিল ১৬ টাকা ৪৭ পয়সা।
এপ্রিল-ডিসেম্বর এই নয় মাসে ম্যারিকোর শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৬৭ টাকা ৮৮ পয়সা। যা আগের বছর এই সময় ছিল ৪৯ টাকা ৩৯ পয়সা।
তবে প্রতিষ্ঠানটির নগদ প্রবাহ (নগদ টাকা) কমেছে।
এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে ম্যারিকোর শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৮৮ পয়সা। যা আগের বছরের এই সময়ে ছিল ৮৫ টাকা ৪২ পয়সা।
প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যও কমেছে।
এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৮ টাকা ৩৬ পয়সা।
লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে বুধবার শেয়ারটির দাম ৯ টাকা ৮০ পয়সা বেড়েছে। সর্বশেষ ১ হাজার ৬৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে ম্যারিকোর শেয়ার।