এদিন দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২২৮ পয়েন্টে।
পরপর চারদিন দরপতনে ডিএসইর প্রধান এ সূচক কমেছে প্রায় ২৩০ পয়েন্ট।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক প্রায় ১২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৯ কমে হয়েছে ১২ হাজার ৮৮১ পয়েন্ট।
২০১৯ সালের মন্দাভাবেই ২০২০ সাল শুরু হয়েছে। দরপতনের ধাক্কায় ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারী হতাশ-ক্ষুব্দ।
দরপতনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর পতন আরো বেগবান হয়েছে। রোববার থেকে টানা চারদিন বড় ধরনের পতন হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে।
২০১০ সালে বড় ধসের পর পুঁজিবাজারে সবচেয়ে ‘খারাপ’ অবস্থা গেছে ২০১৯ সাল। ২০১০ এর ধসের পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে থাকে। ২০১৭ সাল গিয়েছিল।
কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আবার পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। ২০১৯ সালে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও তা স্থায়ী হয়নি। পতনের ধাক্কায় বাজার একেবারে তলানীতে নেমে যায়। সেই মন্দার কবল থেকে বের হতে পারছে না বাজার। টানা পতনে এক বছরের মধ্যে ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে ৭১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সিএসইর অবস্থাও একই। প্রথম আধাঘন্টা সূচক ভাল থাকলেও পরের সাড়ে দিতন ঘন্টা পতনের ধারাতেই কেটেছে।
সূচক পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে এদিন লেনদেনও কমেছে আগের চেয়ে। ঢাকার বাজারে এদিন লেনদেন হয়েছে ২৭৯ কোটি টাকা যা আগের দিনের চেয়ে ৪৭ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রামেও লেনদেন সামান্য কমে হয়েছে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা।
এদিন ঢাকার বাজারে লেনদেনে শীর্ষে ছিল- লাফার্জ হোলসিম, এডিএন টেলিকম, স্টান্ডার্ড সিরামিক, ব্র্যাক ব্যাংক ও কেপিসিএল।
দাম বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল- এডিএন টেলিকম, ন্যাশনাল ফিড মিল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক ও স্টান্ডার্ড সিরামিক। দর হারানোর শীর্ষে ছিল- মেঘনাপেট, আনলিমা ইয়ার্ন, বিচ হ্যাচারি, নর্দার্ন ও প্রাইম টেক্সটাইল।