২ কোম্পানি স্পট মার্কেটে, ৬ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

শেয়ার নিয়ে কারসাজি হওয়ার শাস্তি হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানিকে পাবলিক মার্কেট থেকে স্পট মার্কেটে পাঠিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ -বিএসইসি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2019, 04:19 PM
Updated : 12 Sept 2019, 04:19 PM

প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে  মুন্নু সিরামিকস এবং আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।

একইসঙ্গে ১২ কোম্পানির শেয়ারে কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ছয় বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

বৃহস্পতিবার কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামী রোববার থেকে এই দুই কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে।

গত ২১ অগাস্ট পুঁবিাজারের ‘অস্বাভাবিক’ দরপতনের কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি।

সেই কমিটির সুপারিশের আলোকেই কমিশন সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন এই শেয়ার দুটি শুধু মাত্র নগদ টাকায় লেনদেন কারা যাবে। নেটিং করা যাবে না বা মার্জিন ঋণ নিয়ে কেনা যাবে না।

নেটিং মানে হচ্ছে একটি শেয়ার বিক্রি করে সাথে সাথে সেই টাকা দিয়ে আবার আরেকটি শেয়ার কেনা ।

অন্যদিকে অন্য শেয়ার বিক্রি করে তিন দিনের মাথায় এই দুটি শেয়ার কেনা যাবে; সাথে সাথে কেনা যাবে না।

এর ফলে শেয়ার দুটির কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করার সুযোগ থাকবে না।

৬ বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

এছাড়া তদন্ত কমিটির সুপারিশে কমিশনের সভায় ১২ কোম্পানির শেয়ারে কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ছয় বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১২টি কোম্পানির শেয়ার মূল্য নিয়ে কারসাজি করেছেন ছয় অসাধু বিনিয়োগকারী। শেয়ারের মূল্য বাড়াতে তা সংশ্লিষ্ট একাধিক কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগাম সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে লেনদেন, সিরিজ ট্রেডিং ইত্যাদি কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।

এসব অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

যেসব কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ইউনাইটেড পাওয়ার,  ভিএসএফ থ্রেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, এস এস স্টিল, ইনটেক লিমিটেড, সায়হাম টেক্সটাইল, সায়হাম কটন, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু সিরামিকস, মুন্নু জুট স্টাফলার,  আইসিবি এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক।

আর যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা হলেন, বিশ্বজিত দাস ও তার স্ত্রী, কাজী মোঃ শাহাদাত হোসেন ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বি অ্যান্ড বিএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল,  মোঃ সাইফুল্লাহ, হোসাম মোঃ সিরাজ, এ এস এস আহসান হাবিব চৌধুরী, লুৎফুল গনি টিটু ও তার স্ত্রী এবং তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সাত রং এগ্রো ফিশারিজ লিমিটেড।

কমিশনের সভায় এই ছয় জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদনটি বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পাশাপাশি এই বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর এবং লিংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শেয়ার অন্য প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়ার সুযোগের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিএসইসি।

তবে তারা নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন বলে বিএসইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।