আশুগঞ্জ পাওয়ারই হবে সরকারি খাতের প্রথম কোম্পানি, যারা বন্ডের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় মঙ্গলবার আশুগঞ্জ পাওয়ারকে বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আইপিওর মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বন্ড আসায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়বে। তা বাজারের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশুগঞ্জ পাওয়ার দুই লাখ বন্ড বাজারে ছেড়ে ১০০ কোটি টাকা তুলবে। প্রতিটি বন্ডের দাম হবে ৫ হাজার টাকা।
এই টাকা কোম্পানিটি ভূমি উন্নয়ন ও সিভিল ওয়ার্ক, প্রাথমিক জ্বালানি, যানবাহন ক্রয়, প্রকৌশলী ও পরামর্শক সেবা, চলতি মূলধন এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
বন্ডটি হবে নন-কনভার্টেবল। অর্থাৎ তা শেয়ারে রূপান্তরিত হবে না, বিনিয়োগকারীরা নিদিষ্ট হারে সুদ পাবেন।
সাত বছর মেয়াদী এই বন্ডে বার্ষিক সুদের হার হবে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ। ছয় মাস পরপর এই সুদ দেওয়া হবে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব বছরে আশুগঞ্জ পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) ছিল ২৬৫ টাকা ৯৬ পয়সা। পাঁচ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১০ দশমিক ৬৩ টাকা।
আশুগঞ্জ পাওয়ারের বন্ডের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট এবং ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস। ট্রাস্টি হিসাবে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের বন্ড আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রথম সরকারি কোম্পানির বন্ড। এই বন্ড আমাদের পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়াবে।”
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি একটি সরকারি মালিকানাধীন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।
আটটি ইউনিটের মাধ্যমে ১৬৯০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই পাওয়ার প্ল্যান্টই বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।