৩৮৫ কোটি টাকা বন্ড বিনিয়োগে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের চুক্তি

প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে অনুমোদিত ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৮৫ কোটি টাকা বন্ড বিনিয়োগ পেতে ৭ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে ‘সাবসক্রিপশন এগ্রিমেন্ট’ করেছে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Dec 2018, 01:32 PM
Updated : 23 Dec 2018, 02:49 PM

রোববার ঢাকার একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদুর রহমান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের এ চুক্তি করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “এক হিসেবে বলতে গেলে এটি একটি বিশেষ দিন। এটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। আমার সৌভাগ্য হল যে আমি অনেকদিন আগ থেকে বিদ্যুত ও জ্বালানিতে সংযুক্ত আছি।

“২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পরিকল্পনা করলাম তিন বছরের ক্রাস প্রোগ্রাম করব বিদ্যুতের। ক্যাপাসিটি ওয়ার্কটা মানুষের হাতে তুলে দিলে তারাই ঠিক করে নেয় কোথায় ইনভেস্ট করবে। প্রাইভেট সেক্টর করতে পেরেছে এই সুযোগটা তৈরি করে দেওয়াতে।”

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, “বিশ্লেষকদের বলব, বাংলাদেশের উন্নয়নের বিশেষ দিকটাকে তুলে ধরেন। শেখ হাসিনার অবদান অসামান্য, তাই এতদূর আসতে পেরেছি, তার নেতৃত্বের জন্য বিশ্বে এ অবস্থায় এসেছি।”

পিডিবির এক বিলিয়ন ডলার বন্ড ইস্যু করার বিষয়ে অগ্রগতি হচ্ছে বলেও জানান তৌফিক ইলাহী।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “বিদ্যুত বিভাগে সব কিছুর মধ্যে স্মার্টনেস রয়েছে। এর মূল কারণ সকলে একযোগে কাজ করেছি। বর্তমানে আমরা বছরে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনে যাচ্ছি। সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, আর শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিতে তা সম্ভব হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস, পিডিবি চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বন্ড মার্কেট সম্প্রসারিত হলে প্রকল্প অর্থায়নের বড় একটি অংশ বন্ড মার্কেট থেকে তোলা সম্ভব হবে। এ অনুযায়ী আভ্যন্তরীণ পুঁজিবাজার থেকে এপিএসসিএল এ অর্থায়নের জন্য ৬০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যত প্রকল্পগুলোর অর্থায়নের জন্য আগামী দুই থেকে চার বছরে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার কোটি টাকার অর্থের প্রয়োজন হবে।

এপিএসসিএল এর নিজস্ব অর্থায়নের অংশটুকু সংগ্রহে প্রাথমিকভাবে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্ট এবং ১০০ কোটি টাকা পাবলিক প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। বিএসইসি আবেদন বিবেচনা করে গত ১২ এপ্রিল প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা বন্ড উত্তেলনের অনুমোদন দেয়।

অনুমোদিত ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৮৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে, যার ‘সাবসক্রিপশন এগ্রিমেন্ট’ রোববার সই হল।

চুক্তি স্বাক্ষর করা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বিআইএফএফএল (১০০ কোটি), অগ্রণী ব্যাংক (১০০ কোটি), রূপালী ব্যাংক (৭৫কোটি), সোনালী ব্যাংক ( ৫০ কোটি), উত্তরা ব্যাংক (২০ কোটি), সাধারণ বীমা কর্পোরেশন (২০ কোটি) এবং আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (২০ কোটি)।

প্রাইভেট প্লেসমেন্টের অবশিষ্ট ১১৫ কোটি টাকা আগামী মার্চের মধ্যে উত্তোলন সম্ভব হবে এবং পাবলিক প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা বন্ড ইস্যুর আবেদন বিএসইসি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।