২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগের দিন বুধবার দুই বাজারেই মূল্যসূচকের পাশপাশি লেনদেন কমেছে। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।
প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩০ পয়েন্ট।
তবে এটাকে মূল্যসংশোধন বলছেন বাজার বিশ্লেষকরা। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, টানা কয়েক দিন বাড়ার কারণে অনেকে মুনাফা তুলে নিতে শেয়ার বিক্রি করেছেন।সে কারণে বিক্রির চাপে সূচক সামান্য কমেছে।
“এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসছে। বাজার ভালো হবে।”
লেনদেন হয়েছে ৫২২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।লেনদেনের এই অংক মঙ্গলবারের চেয়ে ৫৬ কোটি টাকা কম।
বুধবার ডিএসইতে ৩৪৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দর।
অপরদিকে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৭৩৫ পয়েন্টে। লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৫৬ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৩টির, কমেছে ১৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দর।
ঈদের ছুটির আগে থেকেই বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ছুটির পরও সে ধারা অব্যাহত ছিল।ছুটির পর তিন দিনে ডিএসইএক্স প্রায় ১০০ পয়েন্ট বাড়ে।
ঈদের ছুটির আগে ও পরে টানা আট কার্যদিবসে ডিএসইএক্স ২২৫ পয়েন্ট বাড়ে।
২৩ মে ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ২৫০ পয়েন্ট। মঙ্গলবার সেই সূচক বেড়ে ৫ হাজার ৪৭৬ পয়েন্টে উঠেছিল।