রেকিট বেনকিজার লভ্যাংশ ঘোষণার পর দরপতন

রেকিট বেনকিজার প্রতি শেয়ারে ৭০ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ওষুধ ও রসায়ন খাতের বিদেশি এই কোম্পানির প্রতি শেয়ারের দাম কমেছে ৬০০ টাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2019, 12:47 PM
Updated : 16 April 2019, 12:47 PM

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ৭০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার তথ্য জানানো হয়।

অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীকে ৭০ টাকা দেওয়া হবে।

দিন শেষে রেকিট বেনকিজারের শেয়ার বিক্রি হচ্ছিল ২ হাজার ৫০০ টাকায়, যা আগের দিনের তুলনায় ৬০০ টাকা কম। সোমবার দিন শেষে শেয়ারটি বিক্রি হচ্ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকায়।

বিনিয়োগকারীরা স্টক লভ্যাংশ আশা করছিল বলে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম পড়ে যায় বলে মনে করছেন শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রেকিট বেনকিজারের কাছ থেকে মানুষ স্টক লভ্যাংশ আশা করেছিল, নগদ লভ্যাংশ দেওয়ায় মানুষ শেয়ারটির প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে, তাই সবাই শেয়ারটি বিক্রি করে দিয়েছে। এ জন্য শেয়ারটির দাম কমে গেছে।”

ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেয়ারটি লেনদেন হচ্ছিল ২ হাজার ১০০ টাকায়। এটি ক্রমাগত বেড়ে ৩ হাজার ১০০ টাকায় যায়।

এমরান বলেন, “শেয়ারটির মুনাফা খুব ওঠা-নামা করে, তাই এবছর প্রথম প্রান্তিকে যে তারা প্রায় ১৫ টাকা শেয়ার প্রতি মুনাফা দেখিয়েছে তাকে ৪ দিয়ে গুণ করলে বছরে আসে ৬০ টাকার মতো এবং এই ৬০ টাকাকে প্রাইস আরনিং রেশিও দিয়ে গুণ করলে আসে ২ হাজার ৬০০ টাকার মতো। সে হিসেবে শেয়ারটির বর্তমান দাম এবং পিই ঠিক আছে।”

একটি শেয়ারের বাজার মূল্যকে তার পুরো বছরের মুনাফা দিয়ে ভাগ করলে যা দাঁড়ায়, তাকে বলে প্রাইস আরনিং রেশিও বা পিই।

এতদিন শেয়ারটির পিই ছিল ৬০ এর ঘরে, মঙ্গলবার দর পতনের পর শেয়ারটির পিই হয়েছে ৪৪।

বর্তমান পিইটি সঠিক বলে দাবি করেন এমরান।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেকিট বেনকিজারের পুঁজিবাজার থেকে অতালিকা ভুক্ত হওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে, এজন্য দাম কমেছে।

রেকিট বেনকিজার ভারত ও পাকিস্তানের পুঁজিবাজার থেকে তাদের শেয়ার তুলে অতালিকাভুক্ত হয়ে গেছে।

সাধারণত স্বেচ্ছায় অতালিকাভুক্ত হতে হলে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানির নিজের শেয়ার কিনে নিতে হয়; সে সময় শেয়ারের দাম বেড়ে যায়, যারা শেয়ার আগে ধারণ করেন, তারা মুনাফা করতে পারেন।

বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় অতালিকাভুক্ত হওয়ার ঘটনা আগে ঘটেনি, তাই এনিয়ে আইনগত জটিলতা দেখা দিয়েছে, বলেন ওই বিশ্লেষক।