বিনিয়োগসীমা পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

পুঁজিবাজারের চলমান সংকট উত্তরণে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছে বাজার সংশ্লিষ্ট দুটি সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2018, 11:31 AM
Updated : 22 March 2018, 11:53 AM

দেশের দুই পুঁজিবাজারের সূচকের টানা পতনের মধ্যে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পক্ষ থেকে এ দাবি তুলে ধরা হয়।

ডিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক সাংবাদিকদের বলেন, পুঁজিবাজারের ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা পুনঃনির্ধারণসহ ডিবিএ ও বিএমবিএ পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় ‘বিশেষ বিবেচনায়’ নিয়েছে।

“অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক যত দ্রুত প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে তত দ্রুত পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।”

বুধবার তাদের প্রস্তাব নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়েছে বলে জানান সাদেক।

তিনি বলেন, “বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সীমার প্রস্তাবগুলো পুনঃবিবেচনার জন্য বলেন।”

ব্যাংকগুলো বর্তমানে রেগুলেটরি মূলধনের ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। রেগুলেটরি মূলধনের মধ্যে রয়েছে পরিশোধিত মূলধন, অবণ্টিত মুনাফা, প্রিমিয়াম আয় ও বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি।

পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক দরপতনের কারণ হিসেবে তারল্য সংকটকে দায়ী করে বিনিয়োগ সীমার সংজ্ঞা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে এ দুটি সংগঠন।

সংগঠন দুটির প্রস্তাব হচ্ছে- ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসীমা নির্ধারণে শেয়ারের বাজার মূল্যের বদলে ক্রয় মূল্যের হিসাব ধরা এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন বন্ড ডিবেঞ্চার প্রেফারেন্সিয়াল শেয়ার ও অতালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার হিসাবের বাইরে রাখা।

কৌশলগত বিনিয়োগ পুরো মেয়াদকাল পর্যন্ত ধরে রাখা এবং যে সব সিকিউরিটিজের লেনদেন হয় না সেসব সিকিউরিটিজকে বিনিয়োগসীমার হিসাব থেকে বাদ দেওয়া।

ব্যাংক তার পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারিকে দেওয়া ঋণের যে অংশ ব্যাংকখাতে বিনিয়োগ করে তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে না ধরে শুধু ওই ঋণের যে অংশ পুঁজিবাজারে বিভিন্ন সিকিউরিটিজের বিনিয়োগ করা হয় তা বিনিয়োগসীমা হিসেবে গণ্য করা।

এছাড়াও আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠন দুটি।

ডিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, ব্যাংলাদেশ ব্যাংক এই প্রস্তাব যত দ্রুত বিবেচনায় নেবে তত দ্রুতই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএমবিএ সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী, ডিবিএর সিনিয়র সহসভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন ও সহ সভাপতি ড. জহির।