গুজব শুনে শেয়ার না ছাড়তে বিনিয়োগকারীদের আহ্বান

পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুজবকে কারণ মনে করছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খায়রুল বাশার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2018, 02:31 PM
Updated : 31 Jan 2018, 02:59 PM

তিনি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “সামনে দেশে কী যেন একটা হতে যাচ্ছে- এমন একটি গুজব বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কগ্রস্ত করে ফেলেছে। এটি সম্পূর্ণ ভুল এক ধারণা, ওই তারিখটা (৮ ফেব্রুয়ারি) চলে গেলেই আপনারা বুঝতে পারবেন, আসলে কিছুই হয়নি।”

বুধবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পুঁজিবাজারে বড় দরপতনের পর সন্ধ্যায় ঢাকার পল্টনের একটি হোটেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং ডিএসই'র ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) নেতারা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছরের শুরুতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা চলছে। মঙ্গলবার ঢাকায় বিএনপিকর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার পর দলটির কেন্দ্রীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিএমবিএ মহাসচিব বলেন, “আজকে যারা শেয়ারের ক্রেতা ছিলেন, তারা সুযোগ সন্ধানী, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভীতি দেখিয়ে কম দামে শেয়ার নিয়েছে। তারা ওই তারিখটা চলে যাওয়ার পরই প্রফিট করে নেবেন।

“বিনিয়োগকারী ভাইদের অনুরোধ করব, দয়া করে আপনার হাতে থাকা শেয়ার এভাবে বিক্রি করে দেবেন না। সর্বোচ্চ মহলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে,” বলেন খায়রুল বাশার।

তিনি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, “দ্রুতই শেয়ারবাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কোনো গুজবকে পাত্তা না দেবেন না।”

ডিবিএ সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, “আমাদের পুঁজিবাজার ভালো হোক- এটা সরকার, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সবাই চায়। নতুন মুদ্রা নীতি তারই বড় প্রমাণ। তাই বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”

“এত দিন মুদ্রানীতির কথা বলে বাজার ফেলানো হয়েছিল। পরে ভালো মুদ্রনীতি ঘোষণা করার পর এখন অহেতুক আরও একটি গুজব ছড়ানো হচ্ছে,” বলেন তিনি।

ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) নতুন করে নির্ধারণের কোনো প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়বে না বলে দাবি করেন বিএমবিএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ।

তিনি বলেন, “আগের ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্ট অনুযায়ী টোটাল লাইবিলেটিসের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সীমা ছিল। সে ক্ষেত্রে এডিআর ইস্যু বাড়ানো কমানোর সাথে পুঁজিবাজারের সম্পর্ক ছিল।

“বর্তমানে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার সাথে এডিআর ইস্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে কোনো জ্ঞান না থাকার কারণে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।”