মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারে ‘ভয়ের কিছু নেই’

মুদ্রানীতির নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা নেই বলে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2018, 01:39 PM
Updated : 29 Jan 2018, 01:59 PM

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী।

নাসির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুদ্রানীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীরা অনেক নার্ভাস ছিল। যেহেতু এডি রেশিও (ঋণ-আমানত অনুপাত) কমানো হয়নি, তাই অতটা ভয়ের কিছু নেই।”

সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ অপরিবর্তিত রেখে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ বজায় রাখতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যেসব ব্যাংক আগ্রাসীভাবে সীমার অতিরিক্ত ঋণ দিয়েছে তাদেরকে জুনের মধ্যে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ঋণ আনতে সময় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

নাসির বলেন, “কিছু ব্যাংক হয়ত নিয়মের বেশি ঋণ দিয়ে ফেলেছে, তাদের আমানত বাড়িয়ে ঋণের পরিমাণ কমিয়ে নিয়মে নিয়ে আসতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগতে পারে। আশা করা যায়, বেশিরভাগ ব্যাংক ইতোমধ্যে নিয়মে চলে এসেছে।”

শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে সব ব্যাংক নিয়মের বেশি ঋণ দিয়ে ফেলেছে, তাদেরকে ঋণ বিতরণ কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে এবং আমানত বাড়াতে হবে। এর ফলে কিছুদিন তারল্য প্রবাহ কম থাকতে পারে।”

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এডিআর কমানো প্রসঙ্গে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। বেশ কিছু ব্যাংক আগ্রাসী ব্যাংকিং করেছে। আমানত না বাড়িয়ে ঢালাও ঋণ বিতরণ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর লাগাম টেনে না ধরলে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।”

জানুয়ারি-জুন মেয়াদের নতুন এই মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে ঋণ-আমানত অনুপাতের (এডিআর ) কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির।