রোববার দিন শেষে দেশের দুই শেয়ারবাজারেই মূল্য সূচকের পতন হয়েছে; লেনদেনের সঙ্গে বেশিরভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরও কমেছে।
প্রথম আধঘণ্টায় মূল্য সূচকে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও এরপর পতন শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত আর ঘরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার; নেতিবাচক অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে থাকা ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ৭টি ছাড়া সবগুলো শেয়ারের দর কমেছে। ২৫টি ব্যাংকের লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।
ডিএসইতে মোট লেনদেন ৪৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা কমে ৫৭৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এই লেনদেন একমাসের মধ্যে সবচেয়ে কম; ৫ নভেম্বর লেনদেন ছিল ৫৩৮ কোটি ৪৯ লাখ।
রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২৯৬ পয়েন্টে নেমেছে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ১৫২টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির।
দরবৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ইস্টার্ন ক্যাবলস, জেমিনি সি ফুড, ন্যাশনাল টিউবস, মুন্নু জুট স্ট্যাফলার্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, বিডি থাই এলুমিনিয়াম, গোল্ডেন হারভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পদ্মা ইসলামীলাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ফু ওয়াং ফুড।
দরপতনে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোডস, পূবালি ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং ওয়াইমেক্স ইলেক্ট্রোড।
এদিকে রোববার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৪ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৪৮৪ পয়েন্টে নেমেছে।
এদিন লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৮ কোটি ৩ লাখ টাকা কম।
হাতবদল হওয়া ২৪১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১১৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দর।