৪০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমতি পেল এবি ব্যাংক

বাজারে বন্ড ছেড়ে ৪০০ কোটি টাকার মূলধন তোলার অনুমতি পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরব-বাংলাদেশ ব্যাংক।

পুঁজিবাজার ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2017, 12:27 PM
Updated : 28 Nov 2017, 01:15 PM

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মঙ্গলবারের সভায় বন্ড ছাড়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বাজার থেকে তোলা এই অর্থ দিয়ে বিধিমোতাবেক সম্পূরক মূলধনের প্রয়োজনীয়তা (টায়ার-২ ক্যাপিটাল) মেটাবে কোম্পানিটি।

সাত বছরমেয়াদী বন্ডটি ‘সাবঅর্ডিনেটেড’ (ঝুঁকিপূর্ণ), ‘নন-কনভার্টিবল’ (শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য নয়) ও ‘ফ্লোটিং রেট’ (পরিবর্তনশীল সুদহার) বৈশিষ্ট্যের হবে এবং বাজারে তালিকাভুক্ত হবে না।

পরিশোধের দিক থেকে কোম্পানির ঋণদাতাদের মধ্যে সবার নিচে এই বন্ডধারীদের অবস্থান বলে এটাকে সাবঅর্ডিনেটেড (ঝুঁকিপূর্ণ) বন্ড বলা হয়। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা ব্যাংক বন্ধ হওয়ার বা দেওলিয়া ঘোষণার সময় সবার পরে বন্ডধারীদের পাওনা পরিশোধ করা হবে।

ফ্লোটিং রেট অর্থ হলো যারা বন্ডটি কিনবেন তারা নির্দিষ্ট কোনো হারে সুদ পাবেন না। সময় ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর সেটা নির্ভর করবে, যেগুলো বন্ডের প্রসপেক্টাসে উল্লেখ থাকবে।

বন্ডটি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কিনতে পারবেন না। গোপনীয় লেনদেনের (প্রাইভেট প্লেসমেন্ট) মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক ও উচ্চ সম্পদধারী বিনিয়োগকারীরা এটা কিনতে পারবেন।

বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে এককোটি টাকা। এমটিবি ক্যাপিটাল বন্ডটির ট্রাস্টির দায়িত্বে এবং ম্যান্ডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার থাকবে আরএসএ ক্যাপিটাল।