হঠাৎ এবি ব্যাংকের শেয়ারের ব্যাপক লেনদেন

হঠাৎ করেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের শেয়ারের ব্যাপক লেনদেন হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2017, 01:51 PM
Updated : 20 Nov 2017, 03:47 PM

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির তিন কোটি ৩৯ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যার মূল্য ৮৫ কোটি টাকারও বেশি।

এদিন লেনদেনে শীর্ষস্থানে উঠে আসা এবি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে বাজারের মোট লেনদেনের প্রায় সাড়ে সাত শতাংশ।

ডিএসইর ওয়েবসাইটের হিসাবে, অন্তত দুবছরের মধ্যে এবি ব্যাংকের এত শেয়ার হাতবদল হয়নি। এর আগে গত ৩১ মার্চ সর্বোচ্চ দুই কোটি ৮১ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।

ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকসহ দেশের কয়েকটি ব্যাংকিং খাতে মালিকানা বদল নিয়ে গত কিছুদিন ব্যাংক খাতের শেয়ারে অস্থিরতা রয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানিজের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার কিনে বিভিন্ন ব্যাংকের মালিকানায় প্রবেশ করছে বলেও খবর এসেছে।

তবে দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রথম ব্যাংক এবি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এধরনের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

বাজার সংশ্লিষ্ট একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “প্রকাশ্যে এবি ব্যাংকের কোনও খবর নেই, নেপথ্যে কিছু হতে পারে। শেয়ারের লেনদেন সংখ্যা ও দর বৃদ্ধি দেখে মনে হচ্ছে, কেউ হয়তো কেনার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।”

গত এক সপ্তাহে ব্যাংকটিতে শেয়ার ক্রয়ের অত্যাধিক চাপ লক্ষ্য করা গেছে।  

গত সপ্তাহে ডিএসইতে এবি ব্যাংকের ছয় কোটি ৪০ লাখ শেয়ার ১৪৯ কোটি টাকা মূল্যের হাতবদল হয়েছিল, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ১৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকার তৃতীয় অবস্থানে চলে আসে এবি ব্যাংক।

রোববার লেনদেন বন্ধ থাকার পর সোমবার শুরু থেকেই এবি ব্যাংকের শেয়ারে তেজিভাব দেখা যায়। দিন শেষে সাত দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে ২৫ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন শেষ হয়।

গত ৩১ অক্টোবর তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফায় পতনের খবর আসে। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১০ টাকা প্রতিটি শেয়ারে ১৭ পয়সা করে লোকসান করে ব্যাংকটি, যেখানে গত বছরের একই সময়ে লাভ ছিল ৩৭ পয়সা।

তিন প্রান্তিক মিলিয়ে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির আয় দাঁড়িয়েছে ৭১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৮৪ পয়সা।    

এরপর কয়েকদিনে শেয়ারটির দর কিছুটা কমলেও ৭ নভেম্বর থেকে লেনদেন ও মূল্য দুটোই হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করে।

গত আট দিনের মধ্যে এক দিন বাদে সাত দিনই শেয়ারটির দর বেড়েছে। এসময়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ দর বেড়ে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছেছে।

অত্যধিক ক্রয়ের চাপে শেয়ারটির আরএসআই (রিলেটিভ স্ট্রেংথ ইনডেক্স) ৭৬ অতিক্রম করেছে।

আরএসআই ৭০ অতিক্রম করলেই ওই শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।