পুঁজিবাজার থেকে ৭০ কোটি টাকা তুলবে এই প্রতিষ্ঠান।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে বাজার থেকে এই টাকা তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে গাজিপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত কোম্পানিটির কারখানা পরিদর্শনে যাওয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থ কারখানা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় করা হবে।
পুঁজিবাজারে আসা উপলক্ষে আগামী ২৪ অক্টোবর কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি রোড শো’র আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
কোম্পানির সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে পুঁজিবাজার থেকে ওই অর্থ উত্তোলন করা হবে জানিয়ে ডা. মোস্তাফিজুর বলেন, ৭০ কোটি টাকার মধ্যে ২৩ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ব্যয় করা হবে।
আর বাকি টাকার মধ্যে ৪৪ কোটি টাকা কোম্পানি সম্প্রসারণের জন্যে মেশিনারিজ ক্রয় এবং আরেকটি ছয় তলা ভবনের কারখানা নির্মাণ করা হবে।
অবশিষ্ট তিন কোটি টাকা আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে বলে মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা।
“এই ছয় মাসে কোম্পানির ব্যবসা হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা। সেই হিসেবে আমরা আশা করছি বছর শেষে ৪৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে,” বলেন ডা. মোস্তাফিজুর।
মতবিনিময় সভা থেকে জানানো হয়, ২০০৫ সালে উৎপাদনে যাওয়া পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস বর্তমানে ৪০০ ধরনের ওষুধ উৎপাদন করে থাকে, যার মধ্যে ১০০টি বিশ্বের ২৬টি দেশে রপ্তানি হয়।
গত বছর কোম্পানিটি রপ্তানি থেকে ১২ কোটি টাকা আয় করেছে বলেও জানানো হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে কোম্পানির চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার কাজী মোহাম্মদ বদরউদ্দিন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অপারেশন বিভাগের পরিচালক এম এ মালেক চৌধুরী, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক কামরুল হাসান, উৎপাদন বিভাগের ম্যানেজার মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।