পুঁজিবাজারে মূল সমস্যা ’ইনসাইডার ট্রেডিং ও ম্যানিপুলেশন’ বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেন মমিনুল ইসলাম।
Published : 18 Jan 2025, 06:39 PM
দেশের পুঁজিবাজার সংস্কারের ছাপ বিনিয়োগকারীরা জুনের মধ্যেই দেখতে পাবেন বলে আশা করছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।
শনিবার পুঁজিবাজার বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের’ (সিএমজেএফ) এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ডিএসই তার কাজগুলো ঠিক করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সংস্কার। সংস্কার কাজের ছাপ আগামী জুনের মধ্যে দেখতে পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
“তারা একটি বার্তা পাবেন। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে পুঁজিবাজারও এগিয়ে যাবে। আশা করছি জুনের মধ্যে বাজার ইতিবাচক ধারায় যাবে।”
‘ইনসাইডার ট্রেডিং’ ও ‘ম্যানিপুলেশনকে’ দেশের পুঁজিবাজারের মূল সমস্যা হিসেবে তুলে ধরে মমিনুল ইসলাম বলেন, “এর পাশাপাশি আইনের কিছু বিষয় আমাদের সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। কিছু সীমাবদ্ধতা আমাদের নিজেদের মধ্যেও আছে। এসব কারণে পুঁজিবাজার এগোতে পারেনি।”
‘সিএমজেএফ টক উইথ মমিনুল ইসলাম’ শিরোনামের এ অনুষ্ঠানে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইনসাইডার ট্রেডিং ও ম্যানিপুলেশন‘ বন্ধ করা হয়েছে। বাজারের কোনো কাজে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। এটি ডিএসইর কাজও নয়।
দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর প্রভাব পুঁজিবাজারেও পড়বে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জুনের মধ্যে অর্থনীতির অনেক জায়গাই ভালো হবে। উত্তরণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগের পরিবেশ আরও ভালো হবে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বেড়ে যাচ্ছে। এতে পুঁজিবাজারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।”
বাজারে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ভালো কোম্পানি, বিশেষ করে বিদেশি কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে আলোচনা শুরু করার কথাও তুলে ধরেন ডিএসই চেয়ারম্যান।
প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ নেওয়ার সময় একটি সীমা বেঁধে দেওয়া এবং তালিকাভুক্তির শর্ত জুড়ে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে ডিএসই।
ডিএসইর সার্ভার বিভ্রাটে চলতি মাসে দুই বার লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে। এর ব্যাখ্যায় মমিনুল বলেন, “যে বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল, তা প্রযুক্তিগত বিষয় নয়। তথ্য সংযোজনের সময়ে ব্যক্তির ভুল ছিল।
তিনি বলেন, “বছরের শুরুতে সফটওয়্যারে তারিখটা বসানো হয়। কিন্তু একটা জায়গায় ২০২৫ না বসিয়ে ২০২৪ লেখা হয় লাইসেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে; এটি মানুষের ভুল।”
ইনসাইডার ট্রেডিং ও যোগসাজশ সম্পর্কে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘এসব বিষয়ে ১২টি কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে টাস্কফোর্স গঠন করেছে বিএসইসি। তাদের প্রতিবেদন এলে বোঝা যাবে কে কোন পর্যায় থেকে জড়িত, কার দায় কতটা।”
পৃথকভাবে তদন্ত করলে দায় এড়ানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘ডিএসই কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএসইসি ও ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের কিছু কাজ সম্মিলিত করতে হয়। ডিএসই প্রতিবেদন দেয় বিএসইসিতে। এখন দায় ঠিক করতে হলে যদি এক জায়গা থেকে প্রতিবেদন আসে, তাহলে কাজটি সহজ হয়।”