নেপালে অনভিজ্ঞদের নিয়েই চ্যালেঞ্জ জয়ের আশাবাদ টিটুর

প্রত্যাশার চাপ না দিয়ে মেয়েদের নির্ভার থেকে খেলার সুযোগ দিতে চান বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2024, 03:38 PM
Updated : 27 Feb 2024, 03:38 PM

বয়সভিত্তিক সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগের পাঁচটি আসরের মধ্যে চারটি হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৫ বছর বয়সীদের নিয়ে; একটি অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সীদের নিয়ে। নেপালের কাঠমাণ্ডুতে এবার হবে অনূর্ধ্ব-১৬ বয়স ক্যাটাগরিতে। যদিও অনভিজ্ঞ দল নিয়ে নেপাল যাচ্ছেন বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু, তবে চ্যালেঞ্জ জিততে আশাবাদী তিনি।

আগামী ১ মার্চ থেকে আসরটি শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ মার্চ। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান-এই চার দল রাউন্ড রবিন লিগে খেলার পর সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল মুখোমুখি হবে শিরোপা লড়াইয়ে। ২ মার্চ বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে খেলবে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে।

অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৭-এর হিসেবে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য ২০১৭ সালে পাওয়া। সেবার ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মেয়েরা। অনূর্ধ্ব-১৫ ক্যাটাগরিতে পরের তিন আসরে রানার্সআপ বাংলাদেশ। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ বছর বয়সীদের নিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতায় অতিথি দল রাশিয়া হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন; রানার্সআপ বাংলাদেশ।

২৩ জনের দলে স্বপ্না আক্তার জিলি, অর্পিতা বিশ্বাস, অনন্যা মারমা, থুইনু মারমা, সুরভী আকন্দ প্রীতি ও আরিফা আক্তারের এএফসি ও সাফের বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বাকিরা এসেছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন জেলা থেকে। এ মাসের শুরুতে অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যস্ততা থাকায় অনূর্ধ্ব-১৬ দলটি নিয়ে তেমন কাজও করতে পারেননি টিটু। মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ তাই প্রস্তুতির কমতি নিয়ে অকপট হলেন।

“সবার মধ্যে রসায়নটা তৈরি করতে যে সময়টা দরকার…যেমন এখানে ৬ জন ফুটবলার অনেক দিন ধরে অনুশীলন করছে, ওদের ৬ মাসের মতো পেয়েছি, কিন্তু অন্যদের একদমই পাইনি। এখানে এক মাসের মতো সময় পেয়েছি। এটুকু প্রস্তুতি আমাদের জন্য যথেষ্ট না।”

“অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্ট নিয়ে আমাদের ব্যস্ততার কারণে এই দলটাকে নিজে করেছে আরেক সহকারী কোচ মিরোনা। অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের পর ওদের নিয়ে কাজ করেছি। গত কয়েক দিনে বেশ কিছু প্রস্তুতিমূলক ম্যাচও খেলেছে ওরা। কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, যারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের মেলে ধরবে। আমি নাম বলব না, তবে ওদের নিয়ে আমি আশাবাদী।”

উঠতি ও নতুনদের ওপর প্রত্যাশার চাপ দিতে চান না টিটু। মেয়েদের নির্ভার থেকে খেলার সুযোগ দিয়ে তিনি পৌঁছতে চান অভীষ্ট লক্ষ্যে।

“ওদের ওপর কোনো প্রত্যাশার চাপ তৈরি করা ঠিক নয়। ওরা সবাই শিখছে, নিজেদের গড়ে তুলছে। নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। এরপর ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যাব আমরা। ফাইনালে ওঠাই লক্ষ্য। সেটিতে সফল হলে শিরোপা জিতেই আসতে হবে। এর বিকল্প নেই।”