কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। দুই দলের ম্যাচটি তাই ছিল গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াই। প্রথম অর্ধে আধিপত্য করল আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ঘুরে দাঁড়ানোর পর জমে উঠল লড়াই। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জিতে গ্রুপ সেরা হলো মারিও লেমোসের দল।
ফেডারেশন কাপে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘সি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জিতে আবাহনী। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ৩-৩ সমতায়।
টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হলো মারিও লেমোসের দল। এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ শেখ রাসেল। এই গ্রুপ থেকে টানা দুই হারে পুলিশ এফসি ছিটকে যায় আগেই।
রয়েলের গোলে এগিয়ে আবাহনী
শুরু থেকে কয়েক বার শেখ রাসেলের রক্ষণে হানা দেওয়া আবাহনী কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ষোড়শ মিনিটে। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের আড়াআড়ি ক্রস আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেশ খানিকটা বেরিয়ে গিয়ে বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক। গোলমুখে ফাঁকায় থাকা মেহেদী হাসান রয়েল আলতো টোকায় বাকি কাজ সারেন অনায়াসে।
ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন কিংসলে
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন এলিটা কিংসলে। এবার রয়েলের শট ছুটছিল জালের দিকে, কিন্তু এক ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক ছিলেন বলের লাইনে। তাদের সামনে থাকা কিংসলে পা ছোঁয়ালে বল হাওয়ায় ভেসে তাদের মাথার উপর দিয়ে খুঁজে নেয় ঠিকানা।
দিপকের গোলে ম্যাচে ফেরা
মুঠো থেকে প্রায় বেরিয়ে যাওয়া ম্যাচে শেখ রাসেল ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পায় ৬৭তম মিনিটে। এমফোন উদোহকে বল বাড়িয়ে বক্সে ছুটেছিলেন দিপক রায়। নিখুতঁ টোকায় তার কাছেই ফিরিয়ে দেন উদোহ। গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলকে ওয়ান-অন-ওয়ানে পেয়ে সহজেই পরাস্ত করেন দিপক।
পেনাল্টিতে সমতা
৭৭তম মিনিটে জামাল ভূইয়ার লং বল পেয়ে যান উদোহ। তাকে শহীদুল ফাউল করলে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। চার্লস দিদিয়ের স্পট কিকে সমতা ফেরান। একপেশে হয়ে যাওয়া ম্যাচে ফিরে উত্তেজনা।
রফা হলো টাইব্রেকারে
এরপর তিন মিনিটের মধ্যে হয় আরও দুই গোল। খালেকুজ্জামান শেখ রাসেলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৮৭তম মিনিটে পিটার এনওরাহর গোলে সমতায় ফিরে আবাহনী। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে যায় আকাশী নীল-সাদা জার্সিধারীরা।