গ্যাবনের মানুষের কাছে ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড সুপারস্টার।
Published : 27 Oct 2022, 08:51 PM
জন্ম ফ্রান্সে, সুযোগ ছিল ফরাসিদের হয়ে খেলার। সে সুযোগ কাজে লাগালে চার বছর আগে রাশিয়ার আসরে হয়ত বিশ্বকাপ জয়ের অনির্বচনীয় স্বাদ পাওয়া হতো পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের। হয়ত খেলতে পারতেন কাতারের আসরেও, কিন্তু এই ফরোয়ার্ড সাড়া দেন পিতৃভূমি গ্যাবনের ডাকে।
কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের বৈতরণী গ্যাবন পার হতে পারেনি। অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে হেরে থেমে যায় তাদের পথচলা। কাতারের ময়দানে তাই লিওনেল মেসি, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, কিলিয়ান এমবাপেদের মতো আলো ছড়াতে দেখা যাবে না অবামেয়াংকে।
গত মে মাসে আচমকাই ৩২ বছর বয়সে জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেন অবামেয়াং। তাই ভবিষ্যতে নতুন নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত না নিলে তাকে আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেখাই যাবে না। ক্যারিয়ারে কখনও বৈশ্বিক আসরে খেলাও হবে না তার।
তবে, এসব নিয়ে মোটেও খেদ নেই অবামেয়াংয়ের। গ্যাবনের জার্সিতে খেলতে পেরেই খুশি গত সেপ্টেম্বরে বার্সেলোনা ছেড়ে চেলসিতে যোগ দেওয়া এই ফরোয়ার্ড। ফিফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, পিতৃভূমির হয়ে খেলতে পেরেই নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবেন তিনি। তার কথার মাঝে লুকিয়ে থাকল ভবিষ্যতে আবার প্রিয় জার্সিতে মাঠে নামার ইঙ্গিতও।
“আমি তাদের জন্য সবকিছুই করব এবং এ কারণেই আমি এখানে। যখনই ম্যাচের দিন আসে, আমার রোম খাড়া হয়ে যায়। সবাই আমার কাছে সর্বোচ্চটুকু চায়।”
“গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অনেকগুলো ছবি আমার মনে ভাসে…যখন আমি ছোট ছিলাম, সেই সময়ের ছবি এবং আমার পরিবারের ছবি। কিন্তু যখন মাঠে নামি, আমরা আর কোনো কিছু নিয়ে ভাবি না। নিজেদের কাজ করি।”
অবামেয়াংয়ের জীবদ্দশায় দুটি বিশ্বকাপ জিতেছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালে এবং সবশেষ ২০১৮ সালে রাশিয়ার আসরে। কখনোই বিশ্বকাপে উঠতে পারেনি গ্যাবন। অবামেয়াংও পারেননি পিতৃভূমিকে বিশ্বকাপ তুলতে। তারপরও দেশের মানুষের কাছে তিনি সুপারস্টার বলে জানালেন গ্যাবনের সমাজকর্মী জোসেপ টোন্ডা।
“ফ্রান্সের হয়ে সে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারত, কিন্তু তার বাবা একজন গ্যাবনিজ। অবা (অবামেয়াং) আমাদের সুপারস্টার, পতাকাবাহক।”