সেমি-ফাইনালে দারুণ লড়াই করলেও স্বাগতিক তুরস্কের বস্তান উকার ইয়াসিমের বিপক্ষে পেরে ওঠেননি রোকসানা আক্তার। অবশ্য হারলেও ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে খেলবেন তিনি। তাতে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের কোনো ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে বাংলাদেশের আরেকটি পদক পাওয়ার সম্ভাবনাও জেগেছে।
তুরস্কের কনিয়ায় মঙ্গলবার কম্পাউন্ড মহিলা এককের সেমি-ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ১৪৮-১৪৬ পয়েন্টে হেরেছেন রোকসানা। ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ তুরস্কেরই সুজার আইসে বেরা।
দিনের শুরুতে রিকার্ভ পুরুষ ও মহিলা একক থেকে কেবল হতাশার খবরই এসেছি। আশা জাগালেও রোমান সানা, মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল ও সাগর ইসলামের কেউই পেরুতে পারেননি কোয়ার্টার-ফাইনালের বৈতরণী।
নকআউট পর্বের প্রথম ধাপে বাই পাওয়া রোমান ৬-৪ ও ৬-৪ সেট পয়েন্টে দুই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে উঠেছিলেন কোয়ার্টার-ফাইনালে। কিন্তু দেশের এই তারকা আর্চার সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে উজবেকিস্তানের ওজোদবেক উনগালোভের কাছে পাত্তাই পাননি, হেরে যান ৬-০ (২৯-২৭, ২৭-২৬, ২৯-২৫) ব্যবধানে।
বাই পেয়ে এলিমিনেশন রাউন্ডের প্রথম ধাপ পেরুনোর পর রুবেল আশা জাগিয়েছিলেন দুই প্রতিযোগীকেই ৬-০ পয়েন্টে উড়িয়ে দিয়ে। কিন্তু তারও দাপুটে পথচলা থামে স্বাগতিক তুরস্কের একে সামেতের কাছে ৬-০ ব্যবধানে হেরে।
দুই প্রতিপক্ষকে ৬-০ ও ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারানোর পর কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গাজোজ মেতের কাছে ৭-১ ব্যবধানে হেরে যান সাগর।
মেয়েদের রিকার্ভ এককের পারফরম্যান্সও তথৈবচ। বাই পাওয়ার পর নকআউট পর্বের পরের দুই ধাপ দিয়া পেরিয়েছিলেন ৭-১, ৬-০ সেট পয়েন্টের দারুণ জয়ে। কিন্তু তিনিও পথ হারান কোয়ার্টার-ফাইনালে তুরস্কের ইয়াসমিন ইচেমের কাছে ৭-৩ ব্যবধানে হেরে।
দিয়া অবশ্য প্রথম সেটে ২৮-২৫ পয়েন্টে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দ্বিতীয় সেটে ২৯-২৯ ড্র করে। এরপর তৃতীয় সেট ২৭-২৫ পয়েন্টে হারলেও পরের সেটে ২৮-২৬ ব্যবধানে জিতে লড়াই জমিয়ে তোলেন। কিন্তু পঞ্চম সেটে আত্মসমর্পণই করেন দিয়া, হেরে যান ২৮-২৪ পয়েন্টে।
প্রথম ধাপে বাই পাওয়া নাসরিন আক্তার ৬-৪ সেট পয়েন্টে জয়ের পর কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে হার মানেন ৭-১ ব্যবধানে। বাংলাদেশের আরেক প্রতিযোগী বিউটি রায়ের বিদায় ঘণ্টা বাজে শেষ ষোলোতেই ৬-৪ সেট পয়েন্টের হারে।