পর্তুগিজ মহাতারকার দাবি, ভোটিংয়ের কারণেই বাদ পড়েছেন তিনি।
Published : 21 Jan 2024, 06:30 PM
ফুটবলারদের সবচেয়ে বড় দুটি পুরস্কার ব্যালন দ’র ও ফিফা দা বেস্ট এর বিজয়ী নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, হয়তো ভোটিংয়ের কারণেই বাদ পড়েছেন তিনি।
১৯৫৬ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন দ’র দিয়ে আসছে ফ্রান্সের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল।’ শুরুতে এটা কেবল ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে দেওয়া হলেও, ২০০৭ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে। সাংবাদিকদের ভোটে এর বিজয়ী নির্বাচিত হয়।
আর ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দিয়ে আসছে ১৯৯১ সাল থেকে। কয়েক দফায় নাম পাল্টে ২০১৬ সাল থেকে ‘দা বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ নামে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কারটি। সব জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের ভোটে সেরা নির্বাচিত হয়।
রোনালদো সবশেষ বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন ২০১৭ সালে। ওই সময়ে রেয়াল মাদ্রিদে খেলতেন তিনি। ওই বছরের ব্যালন দ’র ও ফিফার ‘দা বেস্ট’, দুটি পুরস্কারই পেয়েছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
ইউরোপীয় ফুটবলের পাঠ চুকিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে সৌদি ফুটবলে নাম লেখান রোনালদো। বয়স ৩৮ হয়ে গেলেও প্রতিপক্ষের গোলমুখে এখনও দারুণ কার্যকর তিনি। ২০২৩ সালেও যেমন ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫৪টি গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
তারপরও এবারের ব্যালন দ’র কিংবা দা বেস্ট, কোনোটিরই সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন না তিনি। ব্যালন দ’রে তো ৩০ জনের মধ্যেই অনুপস্থিত ছিলেন বর্তমানে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাস্রে খেলা এই তারকা। আর ফিফার প্রথমে প্রকাশিত ১২ জনের তালিকায়ও জায়গা হয়নি পাঁচবারের বর্ষসেরা ফটবলারের।
২০২৩ সালের দুটি পুরস্কারই জিতেছেন বর্তমানে ইন্টার মায়ামিতে খেলা লিওনেল মেসি। দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টাইন তারকার পুরস্কার জেতা নিয়ে অবশ্য কোনো প্রশ্ন তোলেননি রোনালদো, তবে এভাবে নিজের দৃশ্যপটের বাইরে থাকাটা যেন মানতে পারছেন না তিনি।
পর্তুগালের একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন রোনালদো।
“এর মানে এটা বলা নয় যে, মেসি (পুরস্কার দুটি জয়ের) যোগ্য নয় কিংবা (আর্লিং) হলান্ড বা (কিলিয়ান) এমবাপে নয়। তবে (গোল) সংখ্যাগুলো তো আছে আর সংখ্যা কখনও ধোঁকা দেয় না। পুরো মৌসুম বিবেচনায় নেওয়া উচিত।”
সমালোচকদেরও পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন রোনালদো। কথা বলেছেন তার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষ দিকের সময় নিয়ে।
“সংখ্যার গুরুত্ব আছে। যদি পেছনে ফিরে তাকান এবং জাতীয় দল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে কী হয়েছিল দেখেন (কোচ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে ২০২২ সালের নভেম্বরে দুই পক্ষের সমঝোতায় চুক্তি শেষ হয়), তখন মানুষ ভেবেছিল আমি হারিয়ে গেছি- কিন্তু সত্যি হলো আমি লক্ষ্যেই ছিলাম এবং আল নাস্রে দারুণ সময় কাটালাম; আর একারণেই ৫৪টি গোল করলাম।”