পেনাল্টির সিদ্ধান্তকেই যৌক্তিক মনে হচ্ছে না জুড বেলিংহ্যামের কাছে। তার ওপর আবার সেই পেনাল্টি নিতে দেওয়া হলো দুই দফায়। ওই পেনাল্টি গোলে চেলসির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়ার পর তাই ক্ষুব্ধ বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের তরুণ তারকা বেলিংহ্যাম।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বরুশিয়াকে ২-০ গোলে হারায় চেলসি। প্রথম লেগে বরুশিয়া ১-০ গোলে জিতলেও চেলসি কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে গেল ২-১ গোলের অগ্রগামিতায়।
প্রথমার্ধে রাহিম স্টার্লিং গোল করে এগিয়ে নেন চেলসিকে। দ্বিতীয়ার্ধে সেই পেনাল্টি। বেন চিলওয়েলের ক্রস বরুশিয়ার ডিফেন্ডার মারিউস ওলফের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় চেলসি।
হাভার্টজের স্পট কিকে বল ফিরে আসে পোস্টে লেগে। তবে ভিএআর থেকে রেফারি জানতে পারেন, কিক নেওয়ার আগেই বরুশিয়ার কয়েকজন ডি বক্সে ঢুকে গেছেন। তাই আবার পেনাল্টি নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এবার গোল করতে ভুল করেননি হাভার্টজ। ওই গোলই শেষ পর্যন্ত চেলসিকে নিয়ে যায় পরের ধাপে।
ম্যাচের পর বিটি স্পোর্টসের সঙ্গে কথোপকথনে বেলিংহ্যাম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কোনো রাখঢাক না রেখেই।
“আমি ঠিক জানি না, ওই সময় সে (ওলফ) তার হাত আর কোথায় কীভাবে রাখতে পারত। ওই সিদ্ধান্তই ছিল হতাশাজনক। এরপর আবার তারা পেনাল্টি দ্বিতীয়বার নেওয়ার সুযোগ পেল। আমার মনে হয়, এটা স্রেফ ফাজলামো।”
“সব পেনাল্টিতেই, বিশেষ করে যখন রান-আপ এতটা ধীরগতির থাকে, দু-একজন বক্মের ভেতর এক-দুই গজ ঢুকে যেতেই পারে। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে কী আর করা, তিনি (রেফারি) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এটা মেনে নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।”
বরুশিয়া কোচ এডিস টার্জিক সরাসরি না বললেও অসন্তুষ্টি থাকল তার কথাতেও।
“একটি সিদ্ধান্ত নিতে যখন ৫ বা ৬ মিনিট লেগে যায়, তখনই বোঝা যায় যে ব্যাপারটি খুব সহজ ছিল না। দলের ম্যানেজার হিসেবে, দলের বা স্টাফদের পারফরম্যান্সের দায় আমার। কিন্তু রেফারির পারফরম্যান্সের দায় আমার নয়। গত সপ্তাহেও আমরা রেফারি নিয়ে কথা বলিনি, আজকেও বলতে চাই না।”