মিশর জাতীয় দলের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্ট ফ্রান্সেসকো ব্রুতো দা কস্তাকে কোচ করে আনছে ফর্টিস এফসি।
Published : 03 Sep 2022, 06:11 PM
মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। এখন কেবল ফর্টিস একাডেমির সঙ্গে ফ্রান্সেসকো ব্রুতো দা কস্তার আনুষ্ঠানিক চুক্তি বাকি। সেটা দ্রুতই হয়ে যাবে বলে জানালেন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা দলটির সভাপতি শাহীন হাসান।
ভারতে জন্ম নেওয়া দা কস্তা বর্তমানে পর্তুগালের নাগরিক। কোচিং ক্যারিয়ারে তার দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ করার অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বেশি। ভারতের বয়সভিত্তিক দলের দায়িত্বে ছিলেন, ঐতিহ্যবাহী ইস্ট বেঙ্গলের সহকারী কোচের দায়িত্বেও ছিলেন কিছু দিন। কাজ করেছেন মালয়েশিয়াতেও।
বাংলাদেশে অবশ্য এই প্রথম নন দা কস্তা। ৪০ বছর বয়সী এই কোচ ২০২০ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রিমিয়ার লিগের দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে যোগ দিয়েছিলেন সহকারী ম্যানেজার ও ফিটনেস কোচ হিসাবে।
শেখ রাসেলের সঙ্গে যদিও ছিলেন না বেশি দিন। ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে দা কস্তা যোগ দেন মিশর জাতীয় দলে। সেখানে তার দায়িত্ব ছিল টেকনিক্যাল অ্যাসিস্টেন্টের।
মিশর দলে কাজ করার কারণে মূলত দি কস্তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন ফর্টিস এফসির সভাপতি শাহীন।
“মৌখিকভাবে আমরা দুই পক্ষই চুক্তির ব্যাপারে সম্মতিতে পৌঁছেছি। আপাতত তাকে এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে। আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে আমরা লিগের প্রস্তুতি শুরু করতে চাই। আনুষ্ঠানিক চুক্তিটা তখনও হতে পারে, আবার কোচ যদি চান ভার্চুয়ালি সেরে নিতে, সেটাও হতে পারে। চুক্তির জন্য তার বাংলাদেশে আসার প্রক্রিয়াগুলো আমরা শুরু করেছি।”
“শেখ রাসেলে কাজ করার সুবাদে তিনি আমাদের ফুটবল সম্পর্কে জানেন। মিশর জাতীয় দলে তার কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে। আমাদের মনে হয়েছে, তার জাতীয় দলে কাজ করার অভিজ্ঞতা লিগে আমাদের কাজে দিবে। আমরা আশা করি, অভিজ্ঞ এই কোচ ফর্টিস এফসিকে আরও সুশৃঙ্খল দল হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবেন।”
ফর্টিসের মাধ্যমে পাঠানো বার্তায় দি কস্তাও জানিয়েছেন প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা দলটির সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
“যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলো এবং তাদের পরিকল্পনা ও ক্লাব সভাপতি তার ভিশন আমাকে ব্যাখ্যা করলেন, তাৎক্ষণিকভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী হয়েছি আমি।”
২০২১-২২ মৌসুমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফর্টিস। ২২ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৮ ড্রয়ে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে সেরা হয়েছিল তারা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে দলটি হেরেছিল মাত্র এক ম্যাচ।