ওয়াশিংতনের হ্যাটট্রিক, ব্রাদার্সের জালে আবাহনীর ৬ গোল

পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পর একের পর এক গোল উৎসব করল আন্দ্রেয়াস ক্রুসিয়ানির দল।

প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকা আবাহনী ফেডারেশন কাপ শুরু করল চেনা আগ্রাসী রূপে। তাতে স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়ে গেল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। নাবীব নেওয়াজ জীবন গোলমুখ খুলে দেওয়ার পর হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন ওয়াশিংতন ব্রান্দাও দি সান্তোস। দুইবার জালের দেখা পেলেন স্টুয়ার্ট কর্নেলিয়াস। ব্রাদার্সকে গোলের মালা পরিয়ে গ্রুপ পর্বের পথচলা শুরু করল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বুধবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ব্রাদার্সকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আন্দ্রেয়াস ক্রুসিয়ানির দল। প্রথমার্ধে দুই গোল করা আবাহনী দ্বিতীয়ার্ধে উৎসব করে আরও চারবার। 

শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা মেলে আবাহনী। সপ্তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। মিলাদ শেখ সুলেমানির বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে আটকালেও গ্লাভসে নিতে পারেননি গোলরক্ষক, কিন্তু আলগা বল বিস্ময়করভাবে ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন কর্নেলিয়াস।

চাপ ধরে রেখে পঞ্চদশ মিনিটে গোলের দেখা পায় আবাহনী। সতীর্থের ক্রসে পা অনেকটা উঁচিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন জীবন। এই ফরোয়ার্ডের হাতে বল লাগার দাবি করে ব্রাদার্স, কিন্তু সাড়া দেননি রেফারি।

রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত ব্রাদার্স ৩১তম মিনিটে হজম করে দ্বিতীয় গোল। কর্নারের পর দূরের পোস্ট থেকে সুলেমানি হেডে বল বাড়ান অপর প্রান্তে; সেখানে ফাঁকায় থাকা ওয়াশিংতন হাঁটুর টোকায় খুঁজে নেন জাল।

দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীর আক্রমণে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে ব্রাদার্স। ৭১তম মিনিটে নিজেদের অর্ধে মহসিন আহমেদ বল হারালে নিয়ন্ত্রণ নেন ওয়াশিংতন। গতিতে মহসিনকে পেছনে ফেলে কাছের পোস্ট দিয়ে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান।

দুই মিনিট পরই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ওয়াশিংতন। জোনাথনের ফ্রি কিকে রবিউল হাসানের শট প্রতিহত হওয়ার পর কয়েক পা ঘুরে পেয়ে যান ওয়াশিংতন; গোলমুখ থেকে অনায়াসে জাল খুঁজে নেন তিনি।

শুরুতে গোলের সুযোগ হারানো কর্নেলিয়াস জ্বলে ওঠেন শেষ দিকে। ৮২তম মিনিটে সতীর্থের ছোট পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে দৃষ্টিনন্দন শটে লক্ষ্যভেদ করেন সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রানাডিয়ান্সের এই ফরোয়ার্ড।

৮৬তম মিনিটে ওয়াশিংতনের পাসে দারুণ ব্যাক হিলে লক্ষ্যভেদ করেন কর্নেলিয়াস। বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়নরা।