ব্যালন দ’র
রেয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড কেন বর্ষসেরার পুরস্কারটি পাননি, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যালন দ’র আয়োজকরা।
Published : 29 Oct 2024, 08:00 PM
ভিনিসিউস জুনিয়র এই বছরের ব্যালন দ’র না পাওয়ায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে ফুটবল দুনিয়ায়। ব্রাজিলিয়ান এই তারকা মনে করছেন, বর্ণবাদের প্রতিবাদ করায় বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি পাননি তিনি। ২৪ বছর বয়সী ফুটবলার কেন সেরা হতে পারেননি, তার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যালন দ’র আয়োজকরা।
প্যারিসে সোমবার রাতে রেয়াল মাদ্রিদের তিন খেলোয়াড়কে হারিয়ে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ এর পুরস্কার, ব্যালন দ’র জেতেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। ভিনিসিউস হন দ্বিতীয়। তার দুই ক্লাব সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম তৃতীয় ও দানি কারভাহাল হন চতুর্থ।
এবার পুরস্কারটি জয়ের সম্ভাবনায় সবচেয়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল ভিনিসিউসকে। গত মৌসুমে রেয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রেয়াল থেকে ৫০ জনের প্যারিসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মূল অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানায়, রেয়াল বুঝতে পেরেছে যে ভিনিসিউস ব্যালন দ’র পাচ্ছেন না, তাই প্যারিসে যাবেন না ক্লাবের কেউ। পরে সেটাই সত্যি হয়।
ফরাসি ক্রীড়া দৈনিক লেকিপের সঙ্গে আলাপে ফ্রান্স ফুটবল- এর প্রধান সম্পাদক ভাঁনসা গাসসিয়া বললেন, ক্লাব সতীর্থ বেলিংহ্যাম ও কারভাহাল শীর্ষ পাঁচে থাকার কারণে ভোটাভুটিতে কিছু পয়েন্ট কম পেয়েছেন ভিনিসিউস।
“গাণিতিকভাবে তারা (বেলিংহ্যাম ও কারভাহাল) কিছু পয়েন্ট নিয়ে গেছে। এটিও রেয়াল মাদ্রিদের মৌসুমের সারসংক্ষেপ, তাদের তিন বা চার জন খেলোয়াড় বিশ্বের সেরাদের মধ্যে স্থান পেয়েছে এবং জুরিরা তাদের ভোট তাদের (রেয়ালের খেলোয়াড়দের) মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে, এতে লাভ হয়েছে রদ্রির।”
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ছেলেদের ফুটবলের শীর্ষ ১০০ দেশের সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হন ব্যালন দ’র বিজয়ী।
১৯৬০ সালের পর স্পেনের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন দ’র জেতা রদ্রির পারফরম্যান্সও বেশ উজ্জ্বল ছিল গত মৌসুমে। সিটির টানা চতুর্থ প্রিমিয়ার লিগ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনের শিরোপা জয়েও তিনি রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, চোটের কারণে ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে না খেলেও জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
২৮ বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন গাসসিয়া।
“এটি সুন্দর এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা ১৯৬০ সালের পর প্রথম স্প্যানিয়ার্ডের এই ট্রফি জয় নিয়ে বলছি, তিনিও একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।”
ফ্রান্স ফুটবল প্রধান বললেন, একদম শেষ সময় পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছিল বিজয়ীর নাম।
“কেউ জানত না, রেয়াল বা সিটির কেউ না। মঞ্চে রদ্রির যে অনুভূতি ছিল, সেটির এর প্রমাণ। তিনি কিছুই জানতেন না। তার এই আবেগই সব জল্পনাকে দূরে ঠেলে দেয়।”
রদ্রি নিজেও বলেন যে, পুরস্কার জয়ের আগে কেউ তাকে কিছু বলেননি।
আগেভাগে বিজয়ীর নাম প্রকাশের জন্য অনেক চাপ দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করলেন গাসসিয়া।
“সব ক্লাবই তথ্য পাওয়ার জন্য জোর দিয়েছিল। রেয়াল মাদ্রিদ থেকে আমাকে অনেক চাপ দেওয়া হয়েছিল, তবে আমি সবসময় পরিষ্কার, ন্যায্য ছিলাম। হয়তো আমার নীরবতা থেকেই তারা (ফল অনুমান করে) এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”