ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
জর্জিয়ার বিপক্ষে বক্সের বাইরে থেকে শটে দুর্দান্ত গোলের পর তুরস্কের টিনএজার বললেন, অনেক সাধনার ফল এই গোল।
Published : 19 Jun 2024, 08:36 AM
আর্দা গিলের যেন ‘এলেন, দেখলেন, জয় করলেন।’ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেকের উপলক্ষ দারুণ পারফরম্যান্সে রাঙালেন তিনি। দলের খুব প্রয়োজনের সময়ে করলেন দুর্দান্ত একটি গোল। গড়লেন রেকর্ড। জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তুরস্কের তরুণ প্রতিভা বললেন, অনুভুতি প্রকাশের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
ডর্টমুন্ডে মঙ্গলবার জর্জিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করে তুরস্ক। জয়ের নায়ক গিলের।
স্কোরলাইনে যখন ১-১ সমতা, ৬৫তম মিনিটে নজরকাড়া এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। সতীর্থের থেকে বল পেয়ে একটু এগিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বাঁ পায়ে বুলেট গতির শট নেন ১৯ বছর বয়সী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, দূরের পোস্ট দিয়ে বল জড়ায় জালে।
তার ওই গোলই মূলত গড়ে দেয় ব্যবধান। ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে তৃতীয় গোলটি পায় তুরস্ক।
সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোয় অভিষেকে গোলের কীর্তি গড়লেন গিলের, ১৯ বছর ১১৪ দিন। ভেঙে দিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড। ২০০৪ সালে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটিতে অভিষেকে গ্রিসের বিপক্ষে গোলের সময় তখনকার তরুণ রোনালদোর বয়স ছিল ১৯ বছর ১২৮ দিন।
দুজনরেই নাম জড়িয়ে আছে রেয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। একজন সাবেক খেলোয়াড়, আরেকজন বর্তমান। চোটে অনেকটা সময় বাইরে থাকার পর গত জানুয়ারিতে রেয়ালের জার্সিতে অভিষেক হয় গিলেরের। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ইউরোপের সফলতম দলটির হয়ে ১২ ম্যাচে মাত্র ৪৪৭ মিনিট খেলে ৬ গোল করেন তিনি। তুরস্কের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ।
সেই ফর্ম জাতীয় দলেও টেনে আনলেন তিনি। প্রথমবার ইউরোয় খেলতে নেমেই করলেন গোল। তুরস্কের হয়ে ৮ ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোল এটি। প্রথমটি ছিল প্রায় এক বছর আগে, ইউরোর বাছাইয়ে ওয়েলসের বিপক্ষে।
জর্জিয়ার বিপক্ষে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত খেলে একটি গোল করার পাশাপাশি ৫টি সুযোগ তৈরি করেন গিলের। ম্যাচ সেরা হয়ে তিনি বললেন, কঠোর পরিশ্রমের ফল এই গোল।
“আমি রোমাঞ্চিত, কেমন অনুভব করছি, তা বর্ণনা করার জন্য কোনো শব্দ নেই আমার কাছে। আমি সবসময় এমন গোলের স্বপ্ন দেখেছি। যে অসাধারণ ভালোবাসা আমি পাচ্ছি, তার প্রতিদান দেওয়ার জন্য বাড়তি কঠোর পরিশ্রম করছি।”
“সম্প্রতি ট্রেনিং সেশনের শেষ দিকে আমি এই বিশেষ শটের অনুশীলন করেছি। এভাবে গোল করতে পেরে আমি খুবই খুশি। (রেয়াল মাদ্রিদ কোচ) কার্লো আনচেলত্তি আজ ম্যাচের আগে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন এবং আমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছিলেন। রেয়াল মাদ্রিদের সমর্থনও আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে।”