ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
ক্রুসকে আলাদাভাবে প্রশংসা করলেও জার্মানি কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান দাপুটে জয়ের কৃতিত্ব দিলেন পুরো দলকে।
Published : 15 Jun 2024, 08:13 PM
প্রথম ম্যাচ নিয়ে চাপ উত্তেজনা, বাড়তি শিহরণ সব দলেই থাকে। ছিল জার্মান শিবিরেও। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সেই উত্তেজনা প্রশমনে এগিয়ে আসেন টনি ক্রুস। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারের অনুপ্রেরণাদায়ী বার্তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। জার্মানিও পায় দাপুটে শুরু। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় ক্রুসের ওই বার্তার প্রসঙ্গ আলাদাভাবে বললেন কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান।
ক্রুস কী বার্তা দিয়েছিলেন, তার বিস্তারিত অবশ্য বলেননি নাগেলসমান। তবে অভিজ্ঞ তারকার ‘শক্তিশালী বার্তা’য় দলের মধ্যে বিরাজ করা অস্থিরতা, উত্তেজনা নিমিষে উধাও হয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুক্রবার রাতে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচে ৫-১ গোলে স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয় জার্মানি। তিনবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে জালের দেখা পান ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ, জামাল মুসিয়ালা, কাই হাভার্টজ, নিকলাস ফুয়েলখুগ ও এমরে কান।
ইউরোতে জার্মানির এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ে শুরু। এই জয়ে ‘এ’ গ্রুপের টেবিলে চালকের আসনেও বসেছে তারা। দারুণ শুরুর উচ্ছ্বাস নিয়ে নাগেলসমান বললেন, মুসিয়ালা-ভিরৎজদের মতো তরুণদের ওপর থেকে স্নায়ুর চাপ সরিয়ে দিয়েছিলেন ক্রুস।
“ক্রুস খুবই গুরুত্বপূর্ণ, দলের আর সবার মতো। সে খুবই অভিজ্ঞ এবং শান্ত স্বভাবের। স্কটল্যান্ড ম্যাচের আগে দলের মধ্যে আসলেই অস্থিরতা ছিল এবং সে কিছু কথা বলল, যেগুলো ছিল খুবই শক্তিশালী।”
৩৪ বছর বয়সী ক্রুস এই টুর্নামেন্টের শেষে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন। ক্যারিয়ারে ঈর্ষণীয় সাফল্য পাওয়া এই মিডফিল্ডারের মধ্যে কোনো অহমিকা দেখেন না নাগেলসমান।
“সে এই গ্রুপের অংশ, কিন্তু অভিজ্ঞতা তাকে বাকিদের চেয়ে ব্যতিক্রমী করে তোলে। এত এত রেকর্ডের মালিক একজনের সঙ্গে হয়ত কারো কারো মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়, কিন্তু সে অহংকারী নয়। সে দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শান্ত একটা খুঁটির মতো। তার এত সব সাফল্য ও পরিসংখ্যান থাকা সত্ত্বেও, আমরা তাকে দলের অংশ হিসেবে দেখি।”
প্রথম ম্যাচে দ্যুতিময় পারফরম্যান্সে শিরোনামে চলে এসেছে ২১ বছর বয়সী দুই তরুণ মুসিয়ালা ও ভিরৎজ। সেই উন্মাদনার স্রোতে ভাসতে চাইলেন না নাগেলসমান। দাপুটে জয়ের কৃতিত্ব তিনি দিলেন পুরো দলকে।
“আমি একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমাদের খেলোয়াড়রা কিভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হয়ে উঠছে, সেটা দেখা দারুণ বিষয়। তাদের পথ ভিন্ন, অনন্য, কিন্তু যেটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে, সেটা হচ্ছে, আমরা একটা দলের অংশ। এই দলের সবাই সবাইকে আগলে রাখতে শিখেছে।”
“এ কারণেই আমি কোনো একজনকে নিয়ে কথা বলি না। এই দল, এই গ্রুপ ম্যাচটা জিতেছে। আমি আশা করি, এই দেশ (দেশের মানুষ) এখন আমাদেরকে আগের চেয়ে আরও বেশি বিশ্বাস করবে।”