ডাচ ফুটবল
৭৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন নেদারল্যান্ডসের সাবেক মিডফিল্ডার।
Published : 07 Oct 2024, 10:30 PM
ইয়োহান নিশকেন্স জীবনের অধ্যায়ে ৭৩ বছর পূর্ণ করেন রোববার। পরদিন এলো তার মৃত্যুর খবর। পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন নেদারল্যান্ডসের কিংবদন্তি এই ফুটবলার।
গত শতকের সত্তরের দশকের শুরুতে ‘টোটাল ফুটবল’ নামে নতুন এক ফুটবল দর্শন নিয়ে এসেছিল যে আয়াক্স ও নেদারল্যান্ডস দল, তার অংশ ছিলেন নিশকেন্স। আরেক কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের সঙ্গে তিনি গড়ে তুলেছিলেন দারুণ এক জুটি।
ডাচ ফুটবল ফেডারেশন সোমবার এক বিবৃতিতে নিশকেন্সের মৃত্যুর খবর জানায়। তবে মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে নিশকেন্স খেলেন ৪৯ ম্যাচ। ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে যাওয়া ডাচ দলের অংশ ছিলেন তিনি।
১৯৭৪ বিশ্বকাপে তিনি করেন ৫ গোল। মিউনিখের ফাইনালে তখনকার পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে দ্বিতীয় মিনিটেই তার পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস, বিশ্বকাপ ফাইনালে যা দ্রুততম গোল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ডাচদের।
পরে এক সময়ে নিশকেন্স বলেছিলেন, “সবচেয়ে সুন্দর ফুটবলে সবসময় জয় আসে না। কিন্তু আমার কাছে অবিশ্বাস্য লাগে যে, সারা বিশ্বের মানুষজন এখনও সেই ডাচ দল নিয়ে কথা বলে। সেরা ও সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল, টোটাল ফুটবল।”
১৯৭০-৭১ থেকে টানা তিন মৌসুমে ডাচ ক্লাব আয়াক্সের ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জয়ে তিনি রাখেন বড় অবদান। ওই সময়ে দলটির হয়ে টানা দুই মৌসুমে জেতেন ঘরোয়া লিগও।
আয়াক্সে চার মৌসুম কাটিয়ে তিনি যোগ দেন বার্সেলোনায়। স্প্যানিশ দলটিতে পাঁচ বছরের অধ্যায়ে একবার করে জেতেন কোপা দেল রে ও ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ।
তার প্রজন্মের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হতো নিশকেন্সকে। দৃঢ় মনোবল ও স্কিলের জন্য আলাদা পরিচিতি ছিল তার।
১৯৯১ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর কোচিংয়ে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন তিনি। ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছিলেন ছিলেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের সহকারী কোচ। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা ডাচরা ১৯৯৮ আসরে হয় চতুর্থ।
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দল ও বার্সেলোনায় সহকারী কোচের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্লাবে প্রধান কোচ হিসেবেও কাজ করেন নিশকেন্স।