জামাল-তপুদের ‘বন্ডিং’ বাড়ছে

সবশেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে হারের তিক্ত স্মৃতিও খেলোয়াড়দের মনে আছে বলে জানালেন টিম ম্যানেজার ইকবাল হোসেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদক সিলেট থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2023, 03:40 PM
Updated : 23 March 2023, 03:40 PM

সকাল থেকে সিলেটের আকাশে চলছে মেঘ, বৃষ্টি আর রোদের লুকোচুরি। বেলা গড়িয়ে সাড়ে তিনটার পর এক ঘণ্টা বাংলাদেশ জাতীয় দল প্রস্তুতি সারল জেলা স্টেডিয়ামে। কর্দমাক্ত মাঠ বলে ভারী অনুশীলন হলো না তেমন একটা। জাগলিং, পাসিং, রানিং চলল। এক ফাঁকে সিশেলস ম্যাচের ছক নিয়েও কাজ করলেন হাভিয়ের কাবরেরা। 

হালকা অথচ প্রাণোবন্ত অনুশীলনরত দলকে গ্যালারিতে বসে মনোযোগ দিয়ে দেখছিলেন টিম ম্যানেজার ইকবাল হোসেন। সৌদি আরবের দশ দিনের ট্রেনিং ক্যাম্প, দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ এবং বর্তমানে সিলেটের প্রস্তুতি দেখে তার মনে হচ্ছে, জামাল-জিকো-তপুদের মধ্যে বনিবনা বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। 

“সৌদি আরবের প্রস্তুতিটা আসলেই খুব ভালো হয়েছে। মদিনাতে আমাদের তেমন একটা বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। ফলে জিম, ট্রেনিং সবকিছুই যথাযথভাবে হয়েছিল। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও আমাদের খুব কাজে লেগেছে। বিশেষ করে মালাবির বিপক্ষে শেষ ম্যাচটাতে ছেলেরা খুব ভালো খেলেছিল।” 

“এই দলটাতে সাধারণত খুব বেশি পরিবর্তন হয় না। অধিকাংশরাই একসাথে খেলছে অনেক দিন। ফলে আগে থেকেই তাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো। তবে সৌদি আরবে করা দশ দিনের ট্রেনিং ক্যাম্পে টিম বন্ডিং আরও বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে আমার। সেটা মালাবির বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেই বোঝা গেছে।” 

সিশেলসের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে আগামী শনিবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৮ মার্চ। এই সিরিজ দিয়ে প্রায় ছয় মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরবে দল। এই ফেরা রাঙিয়ে রাখতে জামাল-জনিরা মুখিয়ে আছেন বলেও জানালেন ইকবাল। 

“সবশেষ ম্যাচে নেপালে খেলতে যাওয়ার আগে আমরা কম্বোডিয়ার বিপক্ষে খেললাম এবং তাদের বিপক্ষে জিতলাম। কিন্তু নেপালে গিয়ে হেরে গেলাম, ৩-১ গোলে। ওই হার খেলোয়াড়দের মনে আছে। তারা কোনোভাবেই চাই না, সিশেলসের বিপক্ষে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক।” 

“ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সিশেলসের বিপক্ষে আমাদের জেতা উচিত। আমার মতো খেলোয়াড়দের মনেও একই বিষয় কাজ করছে এবং তাদের এই মনে হওয়াটা আমার কাছে ইতিবাচক দিক। সৌদিতে যেহেতু আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি এবং দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করেছি (ড্র করেছি), তাই সিশেলস ম্যাচে যেন নেপালের মতো ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে ছেলেরা সজাগ। তারাও ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।” 

মালাবির বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে শেষ দিকে গোল করে দলের ত্রাতা ছিলেন ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। ফরোয়ার্ডদের পায়ে গোলের দেখা মেলা ভার। সাবেক মিডফিল্ডার ইকবালের চাওয়া সিশেলস ম্যাচে যেন ‘সাহসী’ হয়ে ওঠে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা।

“আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের প্রতি কিন্তু আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে বক্সে ঢুকতে না পারলে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা করার। গোল হোক না হোক শট নাও। কখনও শট নেয়, কখনও দ্বিধা দন্দ্বের কারণে নেয় না। তবে দিনকে দিন তারা এ দিকটায় উন্নতি করছে। গত দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেও চেষ্টা করেছে।” 

“সিশেলস ম্যাচেও তাদের চেষ্টা করতে হবে, সাহসী হতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে চেষ্টা করতে থাকলে একটা-দুটো শট ভালো হলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।“