সুদানের বিপক্ষে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবল’ খেলার লক্ষ্য বাংলাদেশের

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৫৬ ধাপ এগিয়ে থাকা সুদানের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2024, 02:52 PM
Updated : 13 March 2024, 02:52 PM

প্রস্তুতি ম্যাচে যদিও নিজেদের শক্তি, দুর্বলতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখাটা প্রাধান্য পায় বেশি, তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সুদানের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে গুরুত্ব দিচ্ছেন মাঠের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পারফরম্যান্স মেলে ধরার দিকেও। 

সৌদি আরবে বৃহস্পতিবার সুদানের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আফ্রিকা মহাদেশের দলটির বিপক্ষে গোলশুন্য ড্র করেছিল কাবরেরার দল। 

ওই ম্যাচে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ২৫ জনকে খেলানোর কথা বলেছিলেন কাবরেরা। ম্যাচের ফলের চেয়ে শিষ্যদের পারফরম্যান্সে দেখেছিলেন ইতিবাচক দিক। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৫৬ ধাপ এগিয়ে থাকা সুদানের বিপক্ষে এবার লড়াকু ফুটবল খেলার কথা বললেন এই স্প্যানিশ কোচ। 

“এরই মধ্যে আমরা দশ দিন প্রস্তুতি নিয়েছি। যে ধারণা ও কৌশল নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম, সেটা চালিয়ে যাচ্ছি। আগেও বলেছি, প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্স আমার কাছে ছিল ইতিবাচক। আমাদের লক্ষ্য এভাবেই এগিয়ে যাওয়া এবং সুদানের মতো দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলা। রিকভারি…আজ আমরা অনুশীলনে ফিরেছি, সেট পিস নিয়ে কাজ করেছি, দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচের আগের দিন হিসেবে আজ আমাদের প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” 

একটু একটু করে প্রস্তুতির সময় যেমন ফুরাচ্ছে, ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচও আসছে ঘনিয়ে। তাতে সেরা একাদশে জায়গা পাওয়ার লড়াইও উঠছে জমে। 

এর আগে মিডফিল্ডার রবিউল হাসান বলেছিলেন, সুযোগ পেয়েও কেউ কাজে লাগাতে না পারলে পরে দলে জায়গা পাওয়া তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর কণ্ঠেও একই সুর। 

“সব মিলিয়ে আমাদের সময় ভালো যাচ্ছে। কঠোর পরিশ্রম করছি, জিম সেশন করছি। প্রস্তুতি ম্যাচ (একটা) খেলেছি সুদানের সঙ্গে, ড্র করেছি, ওরা শক্তিশালী দল। আমাদের মূল লক্ষ্য ফিলিস্তিন ম্যাচ। তবে তার আগে সুদানের বিপক্ষে সামনে আরও একটা প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। আমরা ওই ম্যাচে ভালো করার চেষ্টা করব।” 

“কখনই ভাবিনি, আমি জাতীয় দলের এক নম্বর গোলরক্ষক। প্রতিটি ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। যারা …তিন জন গোলকিপার আছে (স্কোয়াডে), তাদেরও অনেক দায়িত্ব। দিন শেষে যেই খেলুক না কেন, ভালো ফল হবে-এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে।” 

গত সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দরে সেই মদ-কাণ্ডে জিকো ব্রাত্য থাকার পরের সময়ে পোস্ট সামলেছেন মিতুল মারমা ও মেহেদী হাসান শ্রাবন। সৌদি আরবে চলমান ক্যাম্পে আছেন দুজনেই। লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচে মিতুল চোট পাওয়ায় অভিষেক হয়েছিল শ্রাবণের। ১৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকও ‘এখন আরও আত্মবিশ্বাসী’ বলে জানিয়ে রাখলেন সুযোগ পাওয়ার দাবি। 

“(ক্যাম্পের) আবহ, আমাদের প্রস্তুতি ভালো। কোচিং স্টাফ, কোচ আমাদের যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, মনোযোগ সহকারে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারছি। আসলে জিকো ও মিতুল ভাই আগে খেলেছেন, আমি নতুন এসেছি। উনাদের কাছ থেকে যা শিখেছি, মাঠে সেগুলো প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।” 

“কোচিং স্টাফরা যদি মনে করে, আমাকে খেলানো যায়….আমি চেষ্টা করব প্রস্তুতিতে, প্রস্তুতি ম্যাচে নিজের সবটুকু দিতে। লেবাননের বিপক্ষে খেলেছি, ওটা প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল। বাড়তি চাপ ছিল। সব মিলিয়ে ভালো চাপ ছিল আমার ওপর। সবশেষ ম্যাচ (সুদানের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ) খেলাতে আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি।”