বার্সেলোনাকে হারালেও অসাধ্য সাধন করে ব্যবধান আর ঘোচাতে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে জিতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে গেছে লুইস এনরিকের দল।
Published : 13 May 2015, 03:00 AM
সেমি-ফাইনালের প্রথম পর্বে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-০ গোলে হেরে আসা জার্মান চ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন ছিল চার গোলের ব্যবধানে জয়। প্রাণপণ খেলে ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতলেও তাই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পেপ গার্দিওলার দলকে।
মেহদি বেনাতিয়ার গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনাকে জোড়া গোল করে ফাইনালে নেওয়াটা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন নেইমার। দ্বিতীয়ার্ধে রবের্ত লেভানদোভস্কি আর টমাস মুলারের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া বায়ার্নের সঙ্গী হয় শুধুই হতাশা।
মঙ্গলবার রাতে আলিয়াঞ্জ আরেনায় ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা। কিন্তু দানি আলভেসের বাড়ানো বল থেকে ইভান রাকিতিচের নিচু শট দারুণ দক্ষতায় রক্ষা করেন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার। পাল্টা আক্রমণে বায়ার্নের একটি গোলের চেষ্টা বানচাল করে দেন বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে।
তবে কাঙ্খিত গোলটি পেতে অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। সপ্তম মিনিটে চাবি আলনসোর ক্রসে হেড করে গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন মেহদি বেনাতিয়া।
তবে পঞ্চদশ মিনিটেই মেসি, সুয়ারেস ও নেইমারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সমতা ফেরায় বার্সেলোনা। মেসির ডিফেন্স চেরা পাস ধরে লুইস সুয়ারেস বল পাঠিয়েছিলেন নেইমারকে। এগিয়ে আসা নয়ারকে ফাঁকি দিতে কোনো সমস্যা হয়নি ব্রাজিল তারকার।
গোল খেয়ে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে বায়ার্ন। তবে ফিলিপ লামের ক্রসে টমাস মুলারের হেড ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন।
২৭তম মিনিটে গোলে প্রথম শটটি নেন মেসি। তবে নয়ারের তা ঠেকাতে তেমন কষ্ট করতে হয়নি।
এরপর বায়ার্নের পরপর দুটি আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন। অভিজ্ঞ বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগারের হেড ফেরানোর পর লেভানদোভস্কির শট গোললাইন থেকে ফেরান তিনি।
হতাশা নিয়েই বিরতিতে যায় বায়ার্ন। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হারা দলটির তখন বার্লিনের ফাইনালে যেতে দরকার আরও ৫ গোল!
বিরতির পর ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান লেভানদোভস্কি। ডি-বক্সের ঠিক ভেতরে হাভিয়ের মাসচেরানোকে ফাঁকি দিয়ে বাঁকানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন পোল্যান্ডের এই স্ট্রাইকার।
বায়ার্ন এগিয়ে যাওয়া গোলটি পায় ৭৪তম মিনিটে। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দারুণ শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন টমাস মুলার।
বার্সেলোনার রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় এরপর আরও তিনটি গোল করা আর সম্ভব হয়নি বায়ার্নের।
এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল বার্সা। দ্বিতীয়বারের মতো ‘ট্রেবল’ জয়ের লক্ষ্যটা আর খুব দূরে মনে হচ্ছে না স্পেনের জনপ্রিয় এই ক্লাবের জন্য। লা লিগার শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করা দলটি স্প্যানিশ কাপের ফাইনালেও উঠে আছে।
আগামী ৬ জুন বার্লিনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পঞ্চম শিরোপা জেতার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ আর ইউভেন্তুসের মধ্যে জয়ী দল।