পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা বললেন, ভাগ্য সহায় না হওয়ায় প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে পারেননি তারা।
Published : 22 Nov 2014, 07:20 PM
গ্রুপ পর্বে রানার্সআপ হয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। সেমি-ফাইনালে নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় তারা।
শনিবার দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে এসে অধিনায়ক সুই নু প্রু মারমা বলেন, “নেপালকে হারাতে না পারাটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের জয়ের সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু পারলাম না।”
পেনাল্টি থেকে গোলে নেপালের কাছে হারে বাংলাদেশ। ওই পেনাল্টি নিয়েও প্রশ্ন আছে। গোলরক্ষক সাবিনা আক্তার বল বিপদমুক্ত করতে গেলে প্রতিপক্ষের এক ফুটবলার তার হাতে লেগে পড়ে যান। আফগানিস্তানের রেফারির দেয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি সাবিনা।
“বল বিপদমুক্ত করে ফেলার পর দেখলাম ওদের (নেপাল) এক ফুটবলার পড়ে গেছে। রেফারি পেনাল্টি দিলেন। তিনি এটা না দিলেও পারতেন।”
সাবিনা বিষয়টি নিয়ে আরো বলেন, “ম্যাচ শেষে আমি দলের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন পেনাল্টি দিল। তারা বললেন, আমার হাতে লেগে নাকি ওই ফুটবলার পড়ে গেছে। আমি ঠিক জানি না, আমার হাতে লেগে সে পড়েছিল কিনা।”
বাংলাদেশের গোলরক্ষক মনে করেন, এ ধরণের আসরে খেলতে যাওয়ার আগে আরো বেশি প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজন।
সম্ভাবনা জাগিয়ে ফাইনালে উঠতে না পারাটা দুর্ভাগ্যজনক মনে করছেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও। তবে টুর্নামেন্টে চার গোল করা এই স্ট্রাইকার নিজের পারফরম্যান্সে খুশি।
“এবার ফাইনাল খেলার মতো দল ছিলাম আমরা। কিন্তু ভাগ্যকে পাশে পেলাম না। তবে নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।”
গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। তবে ভারতের মেয়েদের কাছে হেরে যায়।
২০১০ সালে প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমি-ফাইনালে খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। পরের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। এবার সেই সেমি-ফাইনালে থামল বাংলাদেশের মেয়েরা।