বিশ্বকাপে অভিষেক আসরের শুরু থেকে প্রথম একাদশে জায়গায় পাচ্ছিলেন না মারিও গোটসে। কিন্তু শেষটা হলো মহানায়কের ভূমিকায়। মারাকানায় তার দুর্দান্ত এক গোলেই চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে জার্মানি। দলকে বিশ্বসেরার আসনে বসানোর এমন কৃতিত্ব গড়ার অনুভূতিটা ২২ বছর বয়সী গোটসের কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে।
Published : 14 Jul 2014, 10:54 PM
রিও দে জেনেইরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববারের ফাইনালে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও আর্জেন্টিনার রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না জার্মানি।
৮৮ মিনিটে মিরোস্লাব ক্লোসার বদলি হিসেবে বায়ার্ন মিউনিখের গোটসেকে মাঠে নামান কোচ ইওয়াখিম লুভ। ম্যাচ নব্বই মিনিট পেরিয়ে গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।
তবুও বারবারই হতাশ হতে হচ্ছিল ইউরোপের দেশটিকে। অবশেষে আসে সেই উল্লাসের মুহূর্ত। ১১৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে দেয়া আন্দ্রে শুরলের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে দুরূহ কোণ থেকে দারুণ এক ভলিতে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন গোটসে। ম্যাচ শেষে সেটাই নির্ধারণ করে দেয় শিরোপাজয়।
অসাধারণ গোল করে ফুটবল বিশ্বে তৈরি করলেন নতুন ইতিহাস। ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে লাতিন আমেরিকার মাটিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো জার্মানি। কিন্তু গোলের মুহূর্তটা ঠিক যেন বিশ্বাস হচ্ছে না গোটসের।
“আন্দ্রে শুরলে অসাধারণ একটা বল দিয়েছিল আর আমি সেটা বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারি। এরপর কোনোভাবে বলটা জালে জড়াই।”
গোল করার পরের অনুভূতিটা কেমন তার? জবাবে গোটসে বলেন, “সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে যায়, কিন্তু তাতে দল যতটা নির্ভার হয়েছিল এবং ম্যাচের শেষ পর্যন্ত আমরা যেভাবে লড়াই করলাম, তা দেখার মতো ছিল।”
গোটসে আরো বলেন, “প্রথম থেকেই জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল কারণ আমরা অসাধারণ একটা দল। এই মুহূর্তটা বর্ণনা করার মতো নয়।”