অর্জনের কেবল শুরু, জার্মানি ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছুই জিতবে বলে বিশ্বাস ইওয়াখিম লুভের। ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয়টা ভবিষ্যৎ অর্জনের পথে প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করেন জার্মানির কোচ।
Published : 14 Jul 2014, 05:08 PM
রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বদলি খেলোয়াড় মারিও গোটসের ১১৩তম মিনিটের গোলে আর্জেন্টিনাকে হারায় জার্মানি। ২৪ বছর বিশ্বকাপে চতুর্থ বারের মতো শিরোপার স্বাদ পায় ইউরোপের ফুটবল পরাশক্তিরা।
ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে দক্ষিণ আমেরিকায় বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়ার পর লুভ বলেন, "আমার মনে হয়, এই শিরোপাটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের দলে ৩০ বছর বয়সের ওপরের বেশি খেলোয়াড় ছিল না।"
ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয়ের পথে জার্মানির সর্বোচ্চ গোলদাতা হন টমাস মুলার। তার বয়স ২৪ বছর। ফাইনালের একমাত্র গোলদাতা গোটসে ২২ বছরে পা দিয়েছেন। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার টনি ক্রুস আছেন ২৪ বছরে। রক্ষণের অন্যতম ভরসা মাটস হুমেলস তার চেয়ে ১ বছরের বড়।
দারুণ সফলতার সঙ্গে জার্মানির গোলবার আগলানো মানুয়েল নয়ারের বয়সও ২৮ বছর। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে ৩০ বছর বা তার বেশি বয়স অধিনায়ক ফিলিপ লাম, মাঝমাঠের নেতা বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার ও ফরোয়ার্ড মিরোস্লাভ ক্লোসার।
"আমি মনে করি, আমরা ৫০ দিন এক সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু এই প্রকল্পটা আমরা শুরু করেছি ১০ বছর আগে।"
এর পর সংক্ষেপে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার একটা বর্ণনাও দেন জার্মানির কোচ।
"আমরা এটা শুরু করেছিলাম ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমানকে দিয়ে (২০০৪ সালের পর) এবং এর পর আমরা এটা চালিয়ে গেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল, টুর্নামেন্টের শেষ ধাপে যেতে না পারলেও কয়েক বছর ধরে আমরা উন্নতি করেছি।"
ইউরো ২০০২ ও ২০০৪ আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল জার্মানি। এরপর দুটি বিশ্বকাপ, আর দুটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে কমপক্ষে সেমি-ফাইনালে খেলেছে তারা। ওই চারটি সাফল্য এবারের ফাইনালে জার্মানিকে শক্তি যুগিয়েছে বলে মনে করেন লুভ।
"আমরা জানতাম, আমরা শেষ ধাপটায় যেতে পারি এবং এটার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। আর আজ (রোববার) অবশেষে এটা কাজ করল।"