ক্লাব ক্যারিয়ারে সময়টা যেমনই কাটুক না কেন, গ্যারেথ বেলের জীবনে এখন বসন্ত! দেশকে ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে নেওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। স্বপ্নটা সত্যি হয়ে ধরা দেওয়ার পর নিজের অনুভূতিও ঠিকঠাক প্রকাশ করতে পারছেন না সদ্য রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় বলা এই তারকা।
Published : 06 Jun 2022, 05:30 PM
কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ ফাইনালে রোববার ইউক্রেইনকে ১-০ গোলে হারায় ওয়েলস। নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে তারা।
ওয়েলস জয়সূচক একমাত্র গোলটি আত্মঘাতী থেকে পেলেও তাতে বেলের অবদান কম নয়। ৩৪তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে তার ফ্রি-কিক হেডে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালে পাঠান ইউক্রেইন অধিনায়ক আন্দ্রি ইয়ারমোলেঙ্কো।
আগামী নভেম্বরে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ওয়েলস খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের তিন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান।
আগে একবারই বিশ্বকাপে খেলেছে ওয়েলস। ১৯৫৮ সালের আসরে কোয়ার্টার-ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে হেরেছিল তারা।
দেশকে বিশ্বকাপে নিতে পারায় বলতে গেলে বেলের ক্যারিয়ারও পেল পূর্ণতা। ম্যাচের পর স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে অনুভূতি ঠিকঠাক প্রকাশ করতে পারছিলেন না ৩২ বছর বয়সী তারকা।
“ওয়েলস ফুটবল ইতিহাসে এটা সবচেয়ে বড় সাফল্য। আমরা বিশ্বকাপে খেলব! আমি খুব আনন্দিত যে আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। এর অর্থ সবকিছু, স্বপ্নটা পূরণ হলো। আমি শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। আমি খুব খুশি যে এই অসাধারণ সমর্থকদের জন্য আমরা এটা করতে পেরেছি।”
চোট ও নানা সমস্যায় গত কয়েক মৌসুমে ক্লাব ফুটবলে সেভাবে খেলারই সুযোগ পাননি বেল। তবে ওয়েলসের হয়ে ঠিকই আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন বেল। গত মার্চে প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারানো ম্যাচে দলের দুটি গোলই করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপ নিশ্চিতের পর বেল নিজেও বললেন, দেশের হয়ে পারফর্ম করাটা সহজ ছিল না তার জন্য।
“কাজটা কঠিন ছিল। গত তিন-চার সপ্তাহে আমি খুব বেশি ফুটবল খেলিনি, কারণ আমার পিঠের সমস্যা ছিল। সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি আমার সবটা দিয়েছি।”