বের্নাবেউয়ে মেসি-নেইমারের ‘বিশেষ ম্যাচ’

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে তাদের কত স্মৃতি। বার্সেলোনার হয়ে এখানে স্মরণীয় সব জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন লিওনেল মেসি ও নেইমার। আবারও তারা একসঙ্গে ফিরছেন এই মাঠে। এবার অবশ্য পিএসজির জার্সিতে। নেইমারের মতে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে আসছে ম্যাচটি তাদের দুই জনের জন্য বিশেষ কিছু।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2022, 07:24 PM
Updated : 8 March 2022, 07:36 PM

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে বুধবার রিয়ালের মাঠে খেলবে পিএসজি। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায়।

গত বছরের অগাস্টে বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম বের্নাবেউয়ে খেলতে যাচ্ছেন মেসি। ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে কাতালান ক্লাবটি থেকে প্যারিসের দলটিতে যাওয়ার পর নেইমার রিয়ালের মাঠে খেলেছেন দুইবার। ২০১৮ সালে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজি হেরেছিল ৩-১ গোলে। পরের বছর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেইমার বদলি নেমে দলকে ২-২ গোলে ড্র করাতে সাহায্য করেছিলেন।   

২০১৪ সালে বের্নাবেউয়ে বার্সেলোনার ৪-৩ ব্যবধানে স্মরণীয় জয়ে সতীর্থদের দুটি গোলে অবদান রেখেছিলেন নেইমার। পরের বছর এখানে দলের ৪-০ গোলে জয়ের ম্যাচে তিনি নিজে জালের দেখা পেয়েছিলেন একবার।

মেসি ২০০৫-০৬ মৌসুম থেকে বার্সেলোনার হয়ে এই মাঠে খেলেছেন ১৯ ম্যাচ। জিতেছেন ১০টি, ড্র হয়েছে ৩টি এবং হেরেছেন ৬টিতে। এখানে প্রথম তিন সফরে যদিও কোনো গোল পাননি তিনি। ২০০৮-০৯ মৌসুমে পেপ গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে দলের ৬-২ গোলের দুর্দান্ত সেই জয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড করেন জোড়া গোল। পরবর্তীতে এখানে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার কীর্তি আছে তার। 

যখন বার্সেলোনার জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন মেসি ও নেইমার

সব মিলিয়ে রিয়ালের মাঠে সতীর্থদের দিয়ে ৮টি গোল করানো মেসি নিজে জালের দেখা পেয়েছেন ১৫ বার। এর মধ্যে জোড়া গোল আছে তিনবার, হ্যাটট্রিক একটি। কোনো এক দলের মাঠে তার সবচেয়ে বেশি গোল রিয়ালের বিপক্ষেই।   

সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা সেখানেই ফিরছেন আবার। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনের নেইমার তুলে ধরলেন এর মাহাত্ম্য।

“আমার ও লিওনেল মেসির জন্য এটা বিশেষ ম্যাচ, কারণ আমরা বার্সেলোনায় খেলেছি। (সের্হিও) রামোসও আমাদের সঙ্গে আছে, তার জন্য এটা ছিল নিজের বাড়ি।”

“আমরা দারুণ অনুপ্রাণিত। আগামীকাল আমরা ভালো খেলতে চাই এবং পিএসজির হয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করতে চাই।”

গত বছর পিএসজিতে পাড়ি জমানো সাবেক রিয়াল অধিনায়ক রামোস এই ম্যাচে চোটের জন্য খেলতে পারছেন না। আক্রমণভাগে মেসি ও নেইমারের সঙ্গে শুরু করতে পারেন কিলিয়ান এমবাপে। সোমবার অনুশীলনে চোট পেলেও ফরাসি ফরোয়ার্ড এখন ভালো আছেন বলে ম্যাচের আগের দিন জানান পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো।

ঘরের মাঠে প্রথম লেগে পিএসজি জিতেছিল ১-০ গোলে। এমবাপের করা শেষ মুহূর্তের ওই গোলে অবদান রেখেছিলেন বদলি নামা নেইমার। এবার প্রতিপক্ষের মাঠেও নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ভালো কিছু করতে দলের সবাইকে মানসিকভাবে শক্ত থাকার আহ্বান জানালেন ৩০ বছর বয়সী ফুটবলার।

“অবশ্যই এই ম্যাচটিকে আমি লক্ষ্য বানিয়েছি। এটি এমন একটি ম্যাচ, যেটা খেলোয়াড়রা খেলতে চায়, এই ম্যাচগুলোর প্রতিটি মিনিট উপভোগ করতে হবে।”

“আমি পুরোপুরি মনোযোগী এবং দলকে সাহায্য করার জন্য কাজ করছি। আমি খুশি। আগামীকাল আমি সবকিছু উজাড় করে দেব এবং সফল হতে সবকিছু করব। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে আমাদের মানসিকভাবে খুব শক্ত থাকতে হবে।”