প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ইস্তানবুল বাসাকসেহিরের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে পিএসজি। লাইপজিগের কাছে হেরে আসর শুরু করা তুরস্কের চ্যাম্পিয়নরা টানা দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ পেল।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে কেউই প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। গত আসরের রানার্সআপ পিএসজির তারকাসমৃদ্ধ আক্রমণভাগ ছিল ধারহীন।
ষোড়শ মিনিটে আনহেল দি মারিয়ার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ২৫তম মিনিটে বাসাকসেহিরের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার রাফায়েলের জোরালো শট ফিস্ট করে ফেরান কেইলর নাভাস।
নিজেদের মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেরে আসর শুরু করা পিএসজি ধাক্কা খায় ২৬তম মিনিটে। পায়ে অস্বস্তি অনুভব করলেও ব্যান্ডেজ লাগিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া নেইমার মাঠ ছাড়ার ইঙ্গিত দেন নিজেই। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে তুলে নিয়ে পাবলো সারাবিয়াকে নামান কোচ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমবাপের ছোট পাস পেয়ে ছোট ডি-বক্সের একটু উপর থেকে উড়িয়ে মেরে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন সারাবিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে বাসাকসেহির মাঝেমধ্যে পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াতে থাকে পিএসজির রক্ষণে। ৫৬তম মিনিটে এদিন ভিসকার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দলের ত্রাতা নাভাস।
অবশেষে ৬৪তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা ফুরায় পিএসজির। এমবাপের কর্নারে ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড কিনের নিখুঁত হেড জাল খুঁজে নেয়।
৭৯তম মিনিটে ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রস এমবাপের পা হয়ে পেয়ে যান কিন। শরীরটাকে ঘুরিয়ে দারুণ শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
শেষ দিকে এমবাপের ক্রসে দি মারিয়া স্লাইড করলে বল পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। সারাবিয়া, রাফিনিয়াদের প্রচেষ্টাও লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি পিএসজি।
দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও হারে ৩ পয়েন্ট পিএসজির। বাসাকসেহির পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি এখনও।