দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে অ্যাডহক কমিটির। সেটা তারা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেনও। সঙ্গে ২০২১ সালের অলিম্পিকে খেলার টিকেট পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া, শুটিংকে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিতে জরুরি সবকিছুর পরিকল্পনাও নেওয়ার কথা জানিয়েছেন অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান।
Published : 22 Sep 2020, 07:50 PM
দায়িত্ব নেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ‘স্বল্পমেয়াদের লক্ষ্য’ নিয়ে জানালেন সারওয়ার হাসান। সেখানে শুটিয়ের সুদিন ফেরানোর বার্তাও দিলেন প্রত্যয়ের সঙ্গে।
“শুটিং একটা গর্বের জায়গা। বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ সাফল্য এসেছে এই ইভেন্ট থেকে। আপাতত আমাদের শর্ট টার্ম প্ল্যান, অলিম্পিকের জন্য শুটারদের তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন, করব।”
কর সংক্রান্ত ঝামেলায় ছয় জন শুটার ব্যবহার করতে পারছেন না তাদের অস্ত্র। গত কমিটি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। দ্রুতই বাকি-শাকিল-অর্নব-রাব্বী-দিশা ও রিসালাতের হাতে তাদের অস্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন সভাপতি।
“অস্ত্র নিয়ে যে সমস্যা ছিল, সেটা দ্রুততার মধ্যে সমাধান করব। শুটিং মনস্তাত্ত্বিক ব্যপার। আন্তর্জাতিক মানে যেতে হলে প্রথাগত ধ্যান ধারনার বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে। ট্যালেন্ট হান্ট করতে চাই। ক্লাবগুলোর উন্নতির এবং শুটারদের জন্য উন্নত অস্ত্র আনার চেষ্টা করব। সরকারের সহায়তা পেলে শুটিং নিয়ে আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব।”
২০১৮ সালে গোল্ডকোস্ট কমনওয়েল গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে রুপা জেতা আব্দুল্লাহ হেল বাকির মনে হচ্ছে মানসিক চাপমুক্ত হয়ে খেলার পথটা তৈরি হয়েছে।
“আমরা যখন শুটিংয়ে ছিলাম, তখন সভাপতি আমাদের সঙ্গে ব্যাক্তিগতভাবে কথা বলেছেন। বললেন, গতকালই তিনি লোক পাঠিয়েছেন, আজ-কালকের মধ্যে অস্ত্রগুলো ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”
“গতকাল মহাসচিব আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন। বিদেশি কোচের ৪-৫ জনের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে সম্ভবত দুই জনকেই বেছে নেওয়া হবে।”
নতুন অস্ত্রের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময়ের ব্যাপার। বাকির বিশ্বাস পুরানো অস্ত্র ফিরে পেলে দ্রুতই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। অলিম্পিকে মিডক্স টিম ইভেন্টে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী এই শুটার।
“এ মুহূর্তে শুটারদের উপর কোনো রকম মানসিক চাপ নেই। করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দিনের একটা বিরতি গেছে, এ কারণে মানিয়ে নেওয়া সমস্যা। তবে আগের রাইফেলটা দিয়ে যদি আমরা শুরু করতে পারি, তাহলে আশা করি ৫-৬ মাসের মধ্যে মানিয়ে নিতে পারব। রাইফেলটা একজন শুটারের কাছে কলিজা।”
“মিক্স টিমে আমরা কিন্তু ভালো করি। এর আগে আমি ও সুইরাইয়া আক্তার আপা ভারতের বিশ্বকাপে ফাইনাল এবং তারও আগে সৈয়দা আতকিয়া হাসান দিশাকে নিয়ে বাকু ইসলামী সলিডারিটি গেমসে সোনা জিতেছিলাম। আশা করছি, মিক্স টিমে আমরা ওয়াইল্ড কার্ড পাব। সেটা পেলে ব্যাক্তিগত ইভেন্টেও খেলার সুযোগ পাওয়া যাবে।”
২০১৬ এসএ গেমসে ৫০ মিটার পিস্তলে সোনা জেতা শাকিল আহমেদ বিদেশি কোচের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে টানলেন গত এসএ গেমসের প্রসঙ্গ। নেপালের আসরে শুটিং থেকে কোনো সোনা আসেনি।
“কমনওয়েলথ গেমসের আগে আমাদের বিদেশি কোচ ছিল, আমরা ভালো করেছিলাম। এসএ গেমসে আমাদের বিদেশি কোচ ছিল না, তেমন ভালো কোচ ছিল না, আমরা ভালো করতে পারিনি। আশা করি অলিম্পিকের আগে আমরা ভালো কোচ পাব।”