চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসরের ফাইনালে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নদের ২-১ গোলে হারায় টেরেঙ্গানু। দেশের বাইরে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় খেলতে এসেই বাজিমাত করল মালয়েশিয়ার দলটি।
গ্যালারি ভরা দর্শকের সমর্থন নিয়ে শুরু করা চট্টগ্রাম আবাহনী দ্বিতীয় মিনিটেই আক্রমণে যায়। চার্লস দিদিয়েরের ক্রসে ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি লুকা রতকোভিচ। নবম মিনিটে জামাল ভূইয়ার কাছের পোস্টে নেওয়া শট সরাসরি জমা পড়ে গোলরক্ষকের গ্লাভসে।
যে সেট-পিস নিয়ে ছিল ভয়, তা থেকেই পঞ্চদশ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে মারুফুল হকের দল। বাঁ দিক থেকে লি টাকের কর্নারে হাকিম বিন মামাতের হেডে পরাস্ত মোহাম্মদ নেহাল।
২৩তম মিনিটে কর্নার ফেরানোর পর প্রতি-আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে টেরেঙ্গানু। ইকবল জনকে কাটিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন আজালিনুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আলিয়াস। কিছুটা এগিয়ে এলেও নেহাল পারেরনি বল আটকাতে।
রহমত মিয়ার চোটে ৪২তম মিনিটে মোহাম্মদ রকিকে নামান চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ মারুফুল হক। দুই মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে লি টাকের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
৫৫তম মিনিটে লি টাকের তড়িৎ ফ্রি কিকে বল পেয়ে যান ডি-বক্সে থাকা ব্রুনো সুজুকি। ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত এই জাপানি ফরোয়ার্ডের শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় স্লাইড করে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান রিয়াদুল ইসলাম রাফি।
একটু পর কোত দি ভোয়ার মিডফিল্ডার চার্লসকে তুলে নিয়ে ফরোয়ার্ড সোহেল রানাকে নামায় চট্টগ্রাম আবাহনী।৬১তম মিনিটে আরিফুরের বাড়ানো বল ধরে রতকোভিচের দুর্বল শট হতাশা বাড়ায় দলটির সমর্থকদের। নয় মিনিট পর আরিফুরের কাটব্যাক পেয়ে রতকোভিচের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
আরিফুরের বদলি নামা কাওসার আলি রাব্বীর ৮১তম মিনিটের শট ওপরের জাল কাঁপায়। এর আগে রতকোভিচের শট ফিরিয়ে দেয় এক ডিফেন্ডার। বাকিটা সময়ে সমতায় ফেরা গোলের দেখা পায়নি চট্টগ্রাম আবাহনী।