‘ভুল করেছিল আরিফ, এলার্ট ছিল না নেহাল’

আরিফুর রহমানের পেছন থেকে এসে হেডে প্রথম গোলটি করলেন হাকিম বিন মামাত। আজালিনুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আলিয়াসের ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটির পেছনে দায় আছে গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহালের। ম্যাচ শেষে এই দুজনের সঙ্গে আক্রমণভাগের লুকা রতকোভিচকেও সমালোচনা করেন চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ মারুফুল হক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2019, 04:08 PM
Updated : 31 Oct 2019, 04:10 PM

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে টেরেঙ্গানু এফসির কাছে ২-১ গোলে হারে চট্টগ্রাম আবাহনী।

প্রথমার্ধের ‍দুই গোলের পেছনে শিষ্যদের দায় দেখা মারুফুল জানান শুরুর দিকে রহমত মিয়া এবং পরে চার্লস দিদিয়েরের চোট তার দলের খেলায় প্রভাব ফেলেছে।

“পরিকল্পনা ছিল, পেছন থেকে যে আসবে, তাকে মার্কিং করতে হবে। কর্নার থেকে যে গোলটা খেলাম, সেটা আরিফুর মিস করেছে। বল যখন এরিয়াল হয়েছে তখন হাকিম পেছন থেকে এসে গোল করেছে; আরিফুর হয়ত ওই প্লেয়ারকে মার্ক করতে ভুলে গিয়েছিল।”

“পরের গোলটা খেয়েছি প্রতিআক্রমণ থেকে। যেহেতু আমরা স্বাগতিক এবং আমাদের পরিকল্পনা ছিল ইতিবাচক খেলা। প্রতিআক্রমণ থেকে দ্বিতীয় গোলটি হয়েছে। যদি নেহাল আরেকটু এলার্ট থাকত, তার সেট পজিশনে থাকত, তাহলে সেভ করতে পারত।”

“দিদিয়েরের ইনজুরি ভুগিয়েছে। কারণ তাকে ভিত্তি করে আমাদের রক্ষণ ও আক্রমণভাগের সংযোগটা করা হয়। সে না থাকাতে পরিকল্পনা উল্টা-পাল্টা হয়ে যায়। রহমতের চোটে আমাদের বদলি অপশন কমে গিয়েছিল। ওটা না হলে আমি পরে আরও দুজনকে আক্রমণভাগে নামাতে পারতাম। লুকার আরেকটু সেক্রিফাইস করা উচিত ছিল।”

কোচ হিসেবে প্রথম ট্রফি জিতে উচ্ছ্বসিত টেরেঙ্গানু কোচ নাফুসি বিন মোহাম্মদ জাইন।

“প্রথম ট্রফি জিতে আমি খুশি। যুব দলের হয়ে আমি কিছু ট্রফি জিতেছি, কিন্তু সিনিয়র টিমের হয়ে এটাই প্রথম।”

৬ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার জিতেছেন লি টাক। অধিনায়ক হিসেবে উঁচিয়ে ধরেছেন ট্রফি। টেরেঙ্গানুর এই ইংলিশ মিডফিল্ডার খুশি দলের খেলায়।

“এটা কঠিন টুর্নামেন্ট ছিল। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম শেষ পর্যন্ত ফল দিয়েছে। ওরা কখনও হাল ছাড়েনি এবং দ্বিতীয়ার্ধেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। আমরা প্রথমার্ধ নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম। লিড ধরে রাখার জন্য আমরা জমাট এবং শৃঙ্ক্ষলাবদ্ধ ছিলাম।”