‘বিজয়ীরা কখনও হাল ছাড়ে না’

দুই দফা পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানো। এরপর অতিরিক্ত সময়ের জয়সূচক গোলে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচ শেষে দলটির কোচ মারুফুল হক জানালেন দলের সাফল্যের মন্ত্র।

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সোমবার পাঁচ গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো প্রথম সেমি-ফাইনালে গোকুলামকে ৩-২ ব্যবধানে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ২৯তম মিনিটে পিছিয়ে পড়া চট্টগ্রাম আবাহনী দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দিদিয়ের চার্লসের গোলে সমতায় ফেরে।

৮০তম মিনিটের গোলে হারের শঙ্কায় পড়েছিল দলটি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দিদিয়ের চার্লসের গোলে সমতায় ফেরার পর ১০৫তম মিনিটে চিনেডু ম্যাথিউয়ের লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। পিছিয়ে পড়ার পর ভেঙে না পরে ঘুরে দাঁড়ানোর সূত্র জানালেন মারুফুল।

“কালও বলেছিলাম আমাদের যে উন্নয়নের গ্রাফটা, সেটা প্রতি ম্যাচে শতকরা ১০ ভাগ করে হচ্ছে। ছেলেরা আজ সামর্থ্যের সীমার চেয়েও বেশি দিতে পেরেছে। পরিকল্পনা ছিল ওদের উইংয়ে যেহেতু গ্যাপ থাকে, আমাদের সেটা কাজে লাগাতে হবে। ছেলেরা শেষ পর্যন্ত তাদের খেলাটা ধরে রাখতে পেরেছে।”

“সবসময় ছেলেদের বলে আসছি, উইনার নেভার কুইট দ্য ম্যাচ। হাল ছেড়ে দেওয়ারা কখনও ম্যাচ জিতে না। তোমার বিজয়ী, কখনও হাল ছেড়ে দিবে না। ছেলেরা যে জয়ী, তারা আবারও সেটা প্রমাণ করেছে।”

প্রথমার্ধে গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করা ফরোয়ার্ড লুকা রতকোভিচকে সমালোচনা করেননি মারুফুল। জয়ের জন্য ধন্যবাদ জানালেন পুরো দলকে।

“আমার কাছে মনে হয়েছে কোনোভাবে লুক এ ম্যাচ নিয়ে এক্সাইটেড ছিল। তা না হলে প্রথমার্ধে যে সুযোগগুলো এসেছে…আমরা যদি দেখি ওদের নাম্বার টেন (মার্কাস জোসেফ) যে গোলগুলো করেছে, একই সুযোগ লুকাও পেয়েছিল। সে যদি বল ধরে না রেখে শুরুতেই চেষ্টা করত, তাহলে আমার প্রথমার্ধেই গোল পেয়ে যেতাম। লুকা ভালো খেলোয়াড়-সন্দেহ নেই। একজন খেলোয়াড় যে প্রতি ম্যাচে এক্সাইটেড হবে, বারবার মিস করবে, সেটা মনে করি না।”

“প্রথমে কৃতজ্ঞতা জানায় মহান আল্লাহতালার কাছে। আমাদের টার্গেট শিরোপা পুনরুদ্ধারের কিন্তু প্রথম লক্ষ্য ছিল সেমি-ফাইনাল খেলা। সেমিতে জিতেছি। এখানে যদি ধন্যবাদ দিতে হয়, তাহলে আমার খেলোয়াড়দেরকে দিতে হবে।”

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জামাল ভূইয়াকে তুলে প্লেন পিটারকে নামান মারুফুল। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় খোঁড়াতে দেখা যায় অধিনায়ককে। তবে জামালের চোট নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানালেন চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ।

“জামাল একটু চোটে ছিল। তাই ওকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ওর ইনজুরি সিরিয়াস কিছু না।”