মাঝমাঠে নেপালকে আটকে রাখার প্রতিশ্রুতি মনিকাদের

গত অলিম্পিক বাছাইয়ে কর্নার থেকে নেপালের জালে গোল করেছিলেন মনিকা চাকমা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, বাফুফের টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্যাটেজিক ডিরেক্টর পল স্মলির চোখে তাই অন্যতম নির্ভরতার নাম এই মিডফিল্ডার। স্বাভাবিকভাবে নেপাল ম্যাচে তার দিকে তাকিয়ে থাকবে দল। ১৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ও দিলেন মাঝমাঠ আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি। জানালেন প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা তাদের জন্য চাপ হবে না।

নেপালের বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গসালা স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার স্থানীয় সময় বেলা তিনটায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ‘এ’ গ্রুপের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। গ্রুপ সেরা হতে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা নেপালের জন্য ড্র যথেষ্ট। গতবারের রানার্সআপ বাংলাদেশের দরকার জয়।

হাঁটুর চোটের কারণে প্রথম ম্যাচে খেলা হয়নি কৃষ্ণা রানী সরকারের। তবে শুক্রবার টিম হোটেল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে আর্মড পুলিশ ফোর্স গ্রাউন্ডে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন কৃষ্ণা। ১৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের নেপালের বিপক্ষে খেলা নিয়ে কোচ আশাবাদী।

ভুটান ম্যাচে মাঝমাঠে প্রত্যাশিত আলো ছড়াতে পারেননি কৃষ্ণার জায়গায় নামা সানজিদা খাতুন। নেপাল ম্যাচে মারিয়া মান্ডা-মনিকা-মার্জিয়াদের সঙ্গে কৃষ্ণা যোগ হলে স্বাভাবিকভাবে শক্তি বাড়বে দলের। মনিকাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেভাবে।

“নেপালের বিপক্ষে মাঝমাঠের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। আমি, মারিয়া, মার্জিয়া…কোচ আমাদের সবসময় একসঙ্গে আমাদের মুভ করতে বলেন। একসঙ্গে নিচে নামতে, একসঙ্গে উপরে উঠতে বলেন। যদি আমরা কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী পালন করতে পারি অবশ্যই নেপালকে হারাতে পারব।”

“পল আমাদেরকে বলেছেন দুই মিডফিল্ডারের (মনিকা-মারিয়া) অনেক দায়িত্ব। বল কিভাবে পাস দিতে হবে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। ভুটান ম্যাচে আমরা ওই কাজটাই করেছি। নেপাল ম্যাচেও সেটা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”

নেপালকে শক্তিশালী মানলেও গত অলিম্পিক বাছাইয়ে ১-১ ড্র ম্যাচ থেকে আত্মবিশ্বাস নেওয়ার কথাও জানালেন মনিকা। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা চাপের সঙ্গে দল অভ্যস্ত বলেও জানালেন তিনি।

“অলিম্পিক বাছাইয়ে নেপাল ভালো খেলছে। আমরাও ভালো খেলেছি। ওরাও শক্তিশালী, আমরাও শক্তিশালী। কাল ভালো ম্যাচ হবে।”

“আমরা অনেকবার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের সামনে নেপাল, ভুটানের মাঠেও দর্শকের বিপরীতে খেলেছি। তাই এটা কোনো চাপ হবে না। এখানেও আমরা মানিয়ে নিতে পারব। আমরা আসলে এগুলোর সঙ্গে অভ্যস্ত।”